এই বাড়ি থেকেই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। —নিজস্ব চিত্র।
তপসিয়ায় যুবকের রহস্যমৃত্যু। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির ভিতরে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় গভীর আঘাত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনে করা হচ্ছে, আততায়ীরা ভারী এবং ধারালো কিছু দিয়ে ওই যুবককে খুন করেছে। ঘর থেকে উধাও সাইকেল।
আততায়ীরা কি চুরির উদ্দেশে এসেছি্ল? বাধা দেওয়াতেই কী খুন হন বছর তিরিশের যুবক অভিজিৎ রজক? নকি পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা? সব সম্ভাবনাময় দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
তপসিয়ার বামনপাড়ায় থাকতেন ওই যুবক। একটি হোটেলে কাজ করতেন তিনি। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-পরিজনের দাবি, তাঁর সঙ্গে কারও বিবাদ ছিল বলে জানা নেই। এমনিতে শান্ত স্বভাবের। শত্রুতার কারণে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে বলে মানতে পারছেন না পরিচিতরা। ঘর থেকে সাইকেল গায়েব হয়ে যাওয়ায় তাঁরা মনে করছেন, চুরি করতে এসে আততায়ীদের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন অভিজিৎ। অথবা তিনি বাধা দেওয়ায় তাঁকে ভারী কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রণবের শেষকৃত্য, গান স্যালুট-শোকে-শ্রদ্ধায় বিদায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে
যদিও এখনও জানা যায়নি, খুনের প্রকৃত কারণ। তবে মনে করা হচ্ছে, খুনের ঘটনায় ৩ থেকে ৪ জন জড়িত। এ দিন ঘটনাস্থলে যান গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে হোমিসাইড বিভাগও। অভিজিৎ রজকের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশকে তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ঘুম থেকে উঠে তাঁরা দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। সাইকেল উধাও। অভিজিৎকে ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় ঘরে ঢোকেন তাঁরা। অভিজিতের দেহ চাদর ঢাকা ছিল। তা সরাতেই দেখা যায়, অভিজিতের দেহ ক্ষতবিক্ষত। মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বকেয়া মেটাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ১০ বছর সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। ওই এলাকার আশপাশের রাস্তার সিসিক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।