রাফিয়া রহমান।
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক তরুণীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রাফিয়া রহমান (১৮)। তাঁর বাড়ি তালতলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তালতলা বাজার স্ট্রিটের একটি চারতলা বহুতলের তিনতলার ফ্ল্যাটে মা, বাবা এবং দিদির সঙ্গে থাকতেন রাফিয়া। বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা নাগাদ ফ্ল্যাটের চারতলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান রাফিয়া। ফুটপাতে তখন ঘুমিয়ে ছিলেন এক মহিলা। তাঁর চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে রাফিয়ার পরিবারের সদস্যরা নীচে নেমে আসেন। প্রথমে তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাফিয়াকে। সেখান থেকে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার রাফিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মা রেহেনা খাতুন বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ আওয়াজ শুনে দেখি, রাস্তার উপরে মেয়ে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। কী করে এই ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ পরিবারের সদস্যরা জানান, চার তলার বারান্দায় বুধবার থেকে রাফিয়াদের একটি কম্বল মেলা ছিল। তাঁদের অনুমান, ওই কম্বল ওল্টাতে গিয়েই কোনও ভাবে পড়ে গেছেন রাফিয়া। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, বারান্দার দেওয়াল কোমর সমান উঁচু। ওই বারান্দা থেকে কোনও ভাবেই দুর্ঘটনাবশত পড়ে যাওয়া সম্ভব নয় বল দাবি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তালতলার একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী রাফিয়া গত মার্চ মাস থেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। রাফিয়ার এক বন্ধু হর্ষ রানা বলেন, ‘‘বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছিল। অবসাদে ভুগছে বলে মনে হয়নি।’’ মৃতার বাবা বলেন, ‘‘ও নিজে থেকেই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছিল। আমার মেয়ের অকালমৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’’ পুলিশ মৃতার মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করছে।
একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।