কনকের অপসারণ চায় মহিলা কমিশন

এই মর্মে তাঁরা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশও করতে চলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:০৪
Share:

অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকার। —ফাইল চিত্র

কলকাতার এক জন অধ্যাপক ‘নারীবিদ্বেষী’ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ ওঠায় দিল্লি থেকেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। এ বার মহানগরে এসে ওই কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা চান, এই ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অভিযুক্ত অধ্যাপক কনক সরকারকে অপসারণ করা হোক। এই মর্মে তাঁরা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশও করতে চলেছেন।

Advertisement

কনকবাবুর বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বৃহস্পতিবার কমিশনের এক প্রতিনিধি যাদবপুর ক্যাম্পাসেও যান। তবে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস না-থাকায় কমিশন-প্রধান রেখাদেবী সেখানে যাননি। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার কলকাতার বাইরে। উপাচার্য বলেন, ‘‘কমিশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছিলেন, ১৭ বা ১৮ জানুয়ারি তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন। পাঁচটি ই-মেল করে জানিয়েছিলাম, আমি তখন ক্যাম্পাসে থাকব না।’’ যাদবপুরে না-গেলেও রেখাদেবী জানান, তাঁদের কাছে অভিযোগ আছে, শুধু ফেসবুকে নয়, ক্লাসেও ওই অধ্যাপক ছাত্রীদের সঙ্গে লিঙ্গবৈষম্যমূলক আচরণ করেন। ফেসবুকে ‘সিল্ড’ বোতল বা বিস্কুটের ‘সিল্ড’ প্যাকেটের সঙ্গে কুমারীত্বের তুলনা করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কনকবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন যুগ্ম রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী। তার ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

কমিশন আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে বলেছে, কনকবাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কমিশনের প্রতিনিধি এ দিন যখন যাদবপুরে পৌঁছন, তখন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার কেউই ছিলেন না। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন। মিশ্র পরে জানান, কনকবাবুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement