ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে যুবতীর পচাগলা দেহ, রহস্য

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী আবাসনে গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি বলে পরিচিত ছিলেন। তবে তাঁরা সত্যিই স্বামী-স্ত্রী কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০১:৫২
Share:

খুশি গঙ্গোপাধ্যায়

কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কানন এলাকায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ওই মহিলার নাম খুশি গঙ্গোপাধ্যায় (২৮)। তবে এটি তাঁর আসল নাম কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান পুলিশ। কারণ, ওই মহিলার আরও একটি নাম রয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তাঁর স্বামী কিংবা অন্য আত্মীয়দেরও কাউকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী আবাসনে গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি বলে পরিচিত ছিলেন। তবে তাঁরা সত্যিই স্বামী-স্ত্রী কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, প্রফুল্ল কানন এলাকার ওই আবাসনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা শুনেছিলেন মহিলা পাঁচ নম্বর সেক্টরে কাজ করতেন। এবং তাঁর স্বামী কোনও জিমের সঙ্গে যুক্ত। মহিলার ঘর থেকে সুইসাইড নোট মিলেছে বলে পুলিশ জানায়। তবে সেটি ওই মহিলারই হাতের লেখা কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দম্পতি আবাসনে কারও সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। তাঁদের ফ্ল্যাটে রাত পর্যন্ত পার্টি হত। গত রবিবার তাঁর ফ্ল্যাট থেকে আবর্জনা সাফাইয়ের সময়ে শেষ বার ওই মহিলাকে দেখা গিয়েছিল।

Advertisement

সোমবার রাতে ওই ফ্ল্যাট থেকে কটু গন্ধ বেরোতে থাকে। সেই গন্ধের তীব্রতা মঙ্গলবার সকালে আরও বেড়ে যায়। প্রতিবেশীরা ফ্ল্যাটের মালিককে খবর দেন। এর পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের দাবি, দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢোকা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটের ভিতরে শোয়ার ঘরে গিয়ে পুলিশ দেখে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে ওই মহিলার দেহ। পরনে সাদা টি-শার্ট এবং নীল রঙের ট্র্যাক প্যান্ট। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে, এই ঘটনা আত্মহত্যার না অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, মহিলার স্বামী কোথায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন ওই দম্পতি। কলকাতায় তাঁদের আত্মীয়েরা রয়েছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ওই আবাসনে সিসি ক্যামেরা থাকলেও সূত্রের খবর, কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি কিছু দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement