সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ট্যাংরার খালপাড় সংলগ্ন মথুরবাবু লেনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী দেবন্তীর ‘অবৈধ’ সর্ম্পক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন পেশায় রিকশাচালক উত্তম মণ্ডল। এই সন্দেহের বশে রোজই উত্তম নেশা করে স্ত্রী দেবন্তীকে মারধর করত বলে অভিযোগ।
উত্তমের পড়শিরা বলেন, শনিবার সকালে সে রোজকার মতো রিকশা নিয়ে বেরিয়ে যায়। এর পরে সে দুপুরে নেশা করে ফিরে দেবন্তীর সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দেয়। এর পরে ফের উত্তম বেরিয়ে যায়। ওই এলাকার বাসিন্দা কাকলি দাস বলেন, ‘‘দুপুরে দেবন্তী ঘরে একাই শুয়েছিল। তার পরে দেখি পুলিশ এসে ওকে ঘর থেকে বার করে নিয়ে যাচ্ছে।’’
পুলিশ জানায়, দেবন্তীকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের অনুমান, দেবন্তীকে উত্তম কাঠের কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করেছে। তবে সেই জিনিস পুলিশ এই দিন রাত পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তম প্রায়ই তার স্ত্রী দেবন্তীর সঙ্গে অশান্তি করত। এ দিনও সে দেবন্তীর সঙ্গে ঝগড়া করে।