—প্রতীকী ছবি।
এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গ থেকে বন্দির দেহ নিখোঁজের ঘটনায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুন এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ লোপাটের অভিযোগ তুলল ওই বন্দির পরিবার। এই নিয়ে শনিবার রাতে ভবানীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত বন্দি বাবলু পোল্লের স্ত্রী নমিতা পোল্লে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই অভিযোগ পেয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও কোনও মামলা রুজু না হলেও হাসপাতালের মর্গ থেকে বন্দির দেহ উধাওয়ের ঘটনার তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাবলুকে গত ২০ অক্টোবর এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর জন্য হেস্টিংস থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। এর পাশাপাশি, ভবানীপুর থানা দেহ নিখোঁজের তদন্ত করছে। লালবাজার জানিয়েছে, ওই তদন্তে ভবানীপুর থানার পুলিশ রবিবার কয়েক জন পুলিশকর্মী এবং অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁরা সবাই এসএসকেএম হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। মূলত কখন বাবলুর দেহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল, কী কী পদ্ধতি মেনে মর্গে দেহ রাখা হয়েছিল— সেই সব কিছুই তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ, সোমবার আরও কয়েক জন পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা আছে। তবে প্রেসিডেন্সি জেল এবং হাসপাতালের কাছে যা চাওয়া হয়েছিল, তদন্তে তার কিছু রবিবার বিকেল পর্যন্ত জমা পড়েনি বলেই সূত্রের খবর।
হাওড়ার আমতার বাসিন্দা বাবলু পোল্লে বাড়িওয়ালাকে অ্যাসিড ছুড়ে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১১ বছরেরও বেশি সময় প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন। সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ২০ অক্টোবর এসএসকেএমে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরে তাঁর দেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। কিন্তু তিন দিন পরে সুরতহাল করার সময়ে জানা যায়, মর্গে বাবলুর দেহ নেই। তার পরেই হাসপাতালের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। যার তদন্তে নেমে ভবানীপুর থানার পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মর্গের কর্মীদের তরফে গাফিলতি পেয়েছে।