ছবি সংগৃহীত।
লকডাউনের পরে সীমিত যাত্রী নিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ার মাসখানেকও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেওয়ার সেই পুরনো ছবি ফিরে এল রবিবার সকালে। মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বেলগাছিয়া স্টেশনে কবি সুভাষগামী মেট্রোর সামনে ‘ঝাঁপ’ দিলেন এক তরুণী। তবে ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের তেমন হয়রানির মুখে পড়তে হয়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিষেবা কিছু ক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। পরে গুরুতর আহত ওই তরুণীকে ট্রেনের তলা থেকে উদ্ধার করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মেট্রোর কর্মী এবং আধিকারিকেরা।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষগামী একটি এসি মেট্রো বেলগাছিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে বছর বাইশের ওই তরুণী আচমকা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। রবিবারের সকাল হওয়ায় প্ল্যাটফর্মে যাত্রী খুব কম ছিল। চালক তড়িঘড়ি ব্রেক কষলেও আই সি এফের নতুন এসি রেকের পাঁচটি কামরা তত ক্ষণে ওই তরুণীর উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন মাস্টার-সহ মেট্রোর অন্য কর্মীরা ছুটে আসেন। ট্রেন থেকে দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক মেট্রো কর্মীকে নীচে নামানো হয়। দেখা যায়, ওই তরুণীর বাম হাত ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মেট্রোর লাইনের মাঝে নিকাশি নালার পরিসরে ওই তরুণী পড়ে রয়েছে।
ওই অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় দ্রুত থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ করে ট্রেন পিছিয়ে আনা হয়। এর পরে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গুরুতর আহত ওই তরুণীকে লাইনের মাঝখান থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার প্রক্রিয়া চলাকালীনই দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টারের তৎপরতায় মেট্রোর অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছয়। দ্রুত ওই তরুণীকে মেট্রোকর্মীরা আর জি করে পৌঁছে দেন।
পরে ওই তরুণীর ফোন থেকে পুলিশ তাঁর পরিচয় জানতে পারে। বাগুইআটির বাসিন্দা ওই তরুণীর বাবা- মাকে খবর দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় আহত তরুণীর প্রভূত রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরে তাঁকে রক্ত দিতে হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। দুর্ঘটনার জেরে সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট থেকে ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দমদম থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ওই সময়ের মধ্যে ময়দান থেকে কয়েকটি ট্রেন চালানো হয়। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ফের মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ দিন রবিবার হওয়ায় মেট্রোয় যাত্রীর সংখ্যা সকালের দিকে খুব বেশি ছিল না। ফলে যাত্রীদের সে ভাবে লম্বা ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি। তবে ওই তরুণী কেন এমন ঘটনা ঘটালেন, তা স্পষ্ট নয়।