প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক আগেই এক কিশোরীকে বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক। শনিবার বিকেলে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মা ট্যাংরা থানায় তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন-সহ বাল্যবিবাহ আইনের ধারায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাতেই অপূর্ব রায় নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্যাংরা থানা এলাকার ডি সি দে রোডের বাসিন্দা এক কিশোরীকে গত সেপ্টেম্বরে বাড়ির অমতে বিয়ে করেন বারাসতের বাসিন্দা অপূর্ব। ওই কিশোরীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন, অপূর্ব কোনও কাজ করতেন না। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মেয়ের উপরে চাপ দিতেন। তাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হত বলে ওই কিশোরীর মা পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। কিশোরীর মা পুলিশকে জানান, তাঁর মেয়েকে নিয়ে পাগলাডাঙায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন অপূর্ব।
শনিবার বিকেলে বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে পাগলাডাঙার বাড়িতে পাখার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। সেই সময়ে অপূর্ব বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখে অনেক বার ডাকাডাকি করেও কিশোরীর কোনও সাড়া না পাওয়ায় আশপাশের বাসিন্দাদের জানান। প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শনিবার রাতে ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যাংরা থানার পুলিশ প্রগতি ময়দান থানা এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেফতার করে। তাকে রবিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।