হাসপাতালে মশারির ভিতরে রাখা হয়েছে ডেঙ্গি রোগীদের। —ফাইল চিত্র।
শীত পড়েছে। তবে ডেঙ্গি এখনও বিদায় নেয়নি শহরের বুক থেকে। শুক্রবার রাতে খাস কলকাতায় এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। মালদহ থেকে উচ্চশিক্ষার সূত্রে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।
মৃত ছাত্রীর নাম ফারহানা বেগম (২১)। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস শাখার ছাত্রী ছিলেন তিনি। পার্ক সার্কাস এলাকাতেই হস্টেলে থাকতেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই তরুণীকে। জ্বর-সহ একাধিক উপসর্গ ছিল তাঁর।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া ইরফান সাদিক জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে জ্বর নিয়ে তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তরুণীকে রাখা হয়েছিল ইনটেনসিভ থেরাপি ইউনিট বা আইটিইউ-তে। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি নার্সিং পড়তেন তরুণী। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ডেঙ্গির প্রভাবে শেষ দিকে তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছিল বলে জানান সহপাঠীরা।
চলতি মরসুমে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল চোখে পড়ার মতো। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। মশাবাহিত এই রোগে জেলায় জেলায় আক্রান্তও হয়েছিলেন অনেকে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। সরকারের তরফে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও ডেঙ্গি ঠেকাতে সচেতনতামূলক প্রচার এবং সতর্কবার্তা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। মনে করা হচ্ছিল, বর্ষার মরসুম কাটলেই ডেঙ্গি বিদায় নেবে।
কিন্তু ভরা শীতের মরসুমেও যে ডেঙ্গি পিছু ছাড়েনি, শুক্রবার ঘটনা তার প্রমাণ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। তাই এই রোগকে নিয়ে নতুন করে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি কলকাতা-সহ গোটা দেশে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কলকাতায় শুক্রবার আট জন করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে।