ডেঙ্গি কাড়ল আরও এক প্রাণ

ওই তরুণীর এক বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মাতৃহারা সদ্যোজাতকে সামলানোর মধ্যেই মঙ্গলবার ফোনে স্বামী রাজু দাস জানান, অষ্টমীর দিন তনিমার চোখে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে তিনি লক্ষ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুজোর মরসুমে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কলকাতা পুর এলাকার আরও এক বাসিন্দা। মৃত তনিমা দাসের (৩৩) বাড়ি হরিদেবপুরের সোদপুরে। শনিবার একবালপুরের এক হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির পাশাপাশি তনিমা
লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement

ওই তরুণীর এক বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মাতৃহারা সদ্যোজাতকে সামলানোর মধ্যেই মঙ্গলবার ফোনে স্বামী রাজু দাস জানান, অষ্টমীর দিন তনিমার চোখে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে তিনি লক্ষ করেন। পরদিন চোখ ভীষণ ফুলে যায়। সে দিনই এম আর বাঙুরে জরুরি বিভাগে স্ত্রীকে নিয়ে যান রাজু। হাসপাতাল থেকে চোখের ড্রপ দিয়ে মেডিসিনের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় শখেরবাজারে এক চিকিৎসকের কাছে তনিমাকে দেখান রাজু। তিনি তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

এ দিন রাজু বলেন, ‘‘দুধের শিশুকে বাড়িতে রেখে মা হাসপাতালে ভর্তি হতে চায়নি।’’ কিন্তু গত শনিবার তনিমার অবস্থার অবনতি হয়। রাজু জানান, স্ত্রী বমি করছে দেখে দুপুরে একবালপুরের হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যান তিনি। ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তনিমাকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

রাজু জানান, তনিমার জ্বরের উপসর্গ ছিল না। বেসরকারি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার পরেই ডেঙ্গির কথা জানতে পারেন তিনি। স্ত্রীর যে লিউকেমিয়া রয়েছে, তা-ও তাঁর জানা ছিল না। রাজুর কথায়, ‘‘বিয়ের পরে তনিমার সে রকম কোনও অসুখ হয়নি। ছেলে হওয়ার সময়েও কিছু ধরা পড়েনি। নবমীতেই ওকে হাসপাতালে ভর্তি করলে এমন হত না।’’

পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃতার অ্যাকিউট লিউকেমিয়া ছিল। স্বাস্থ্য ভবনে চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গিতে মৃত্যু কি না, তারাই বলতে পারবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement