শিশুকন্যা বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার মা, দিদিমা 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মাধবপুরের বাসিন্দা তপন নস্কর বারুইপুর থানায় এসে জানান, তাঁর এক প্রতিবেশী নিজের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ পূজা ও তাঁর মা কল্পনাকে থানায় নিয়ে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

কুড়ি দিনের এক শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে তার মা ও দিদিমা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার পশ্চিম মাধবপুরে। বুধবার রাতে শিশুটির মা পূজা সর্দার ও দিদিমা কল্পনা সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করার পরে বৃহস্পতিবার সকালে উজ্জ্বলা বাছার, বিশ্বদেব সর্দার ও তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা সর্দারকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মাধবপুরের বাসিন্দা তপন নস্কর বারুইপুর থানায় এসে জানান, তাঁর এক প্রতিবেশী নিজের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ পূজা ও তাঁর মা কল্পনাকে থানায় নিয়ে আসে। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, পূজার স্বামী মাস আটেক আগে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ওই মহিলার চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। পূজার স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পরে কল্পনাই রাখছিলেন নাতিকে। এর মধ্যেই পূজার একটি কন্যাসন্তান হয়। এক দিকে আর্থিক অনটন। অন্য দিকে নতুন একটি সন্তানের দায়িত্ব। সেই কারণেই তিনি মেয়েকে বিক্রি করে দেন বলে দাবি করেছেন পূজা।

পুলিশি জেরার মুখে পূজা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী উজ্জ্বলার বাড়িতে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। সদ্যোজাত মেয়েকে কী ভাবে মানুষ করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা উজ্জ্বলাকে জানিয়েছিলেন তিনি। এর পরে উজ্জ্বলার পরামর্শেই কুড়ি দিনের শিশুটিকে বিক্রির পরিকল্পনা করেন পূজা ও তাঁর মা কল্পনা। উজ্জ্বলা তাঁদের জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানা এলাকায় তাঁর এক আত্মীয় দম্পতি রয়েছেন, যাঁরা নিঃসন্তান। ওই দম্পতির কাছেই শিশুটিকে বিক্রি করার ব্যবস্থা করেন উজ্জ্বলা। দিন তিনেক আগে ২০ হাজার টাকা দিয়ে পূজার মেয়েকে নিয়ে যান নিঃসন্তান বিশ্বদেব ও শর্মিষ্ঠা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই বাসন্তীর ওই দম্পতির বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। উদ্ধার করা হয় শিশুকন্যাটিকে। পরে পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করা হয়। শিশুটিকে আপাতত একটি হোমে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement