অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার মতো মহারাষ্ট্রেও বিজেপি তথা এনডিএ-র পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন বলে জানাচ্ছে একাধিক সমীক্ষা। তা সত্ত্বেও আজ দলীয় কর্মীদের নতুন করে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ। মুম্বইতে দু’দিনের প্রচারের শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমীক্ষা ভুলে যান। ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি-শিবসেনা (শিন্দে) ও এনসিপি (অজিত পওয়ার) মহাজোট। আর এ বার ক্ষমতায় এলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে।’’ মেরুকরণের রাজনীতি উস্কে দিতেই দেওয়ানি বিধি নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য বলে মনে করছেন রাজনীতিকেরা।
লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেয়েছে এনডিএ। সেখানে শিবসেনা ভেঙে যাওয়ার প্রভাব যে ভোটবাক্সে পড়েছে, তা ঘরোয়া ভাবে মেনেছেন বিজেপি নেতারা। এনডিএ জোটে অজিত পওয়ারের এনসিপি-র উপস্থিতি নিয়েও গেরুয়া শিবিরে প্রশ্ন রয়েছে। এই আবহে ভোটের আগে বিরোধীদের ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধিরই ইঙ্গিত একাধিক সমীক্ষায়। বহু জায়গায় হতাশ হয়ে বিজেপি কর্মীরা বসে গিয়েছেন। শাহ যদিও লোকসভারই দৃষ্টান্ত দিয়ে কর্মীদের বলেছেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রে তিন বার পরপর ক্ষমতায় এসেছি। যার অর্থ, আমাদের সরকার মানুষের জন্য কাজ করছে। তাই সমীক্ষা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। সব অপপ্রচার, সংশয় ঝেড়ে ফেলে দলের কাজে নেমে পড়ুন।’’
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার যে আশ্বাস আজ শাহ দিয়েছেন, তার নেপথ্যেও সুচিন্তিত কৌশল রয়েছে বলে অনেকের মত। বিজেপির আশা, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গেরুয়া শিবির প্রচারে নামলেই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে আশ্বস্ত করতে পাল্টা আক্রমণে নামবে বিরোধীরা। তারা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিপক্ষে যত প্রচার চালাবে, ততই হিন্দু ভোটের মেরুকরণ হবে মহারাষ্ট্রে। অবশ্য লোকসভা ভোটের ইস্তাহারেও বিজেপি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাতে যে ভোটবাক্সে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের বিশাল প্রভাব পড়েছিল, এমনটাও নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সেই পুরনো অস্ত্রকেই হাতিয়ার করছেন অপেক্ষাকৃত নড়বড়ে অবস্থায় থাকা বিজেপি নেতৃত্ব।