প্রতীকী ছবি।
পোষ্য কুকুর রাস্তায় প়়ড়ে কাতরাচ্ছে শুনে ছুটে গিয়েছিলেন মহিলা। মুখে গ্যাঁজলা বেরোনো অবস্থায় আদরের ‘আলফা’-কে তুলে এনেছিলেন। তবু বাঁচানো যায়নি আলফাকে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজিনগরে। কাজল হালদার নামে ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর পোষা কুকুরকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। কাল্টুমা নামে তাঁর আরও একটি পোষা কুকুর নিখোঁজ। তাঁর দাবি, সেটিও পাশের পাড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল বলে খবর পেয়েছিলেন। কিন্তু গিয়ে আর পোষ্যের খোঁজ পাননি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে মৃত কুকুরটির দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনের পাশে কাজলের বাড়ি। প্রায় তিরিশটি পথকুকুরকে দেখভাল করেন তিনি। কাজলদেবীর বক্তব্য, এলাকায় জবরদখল করে কিছু অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। তার মধ্যে কয়েকটি মাংসের দোকানও আছে। কুকুরদের জন্য সেই দোকানিদের সমস্যা হচ্ছিল। তাই তাঁরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে সন্দেহ ওই মহিলার। কাজলদেবীর বাড়ির পাশে একটি জমির মালকিন মালিকা সরকার বলেন, ‘‘আগেও কয়েকটি কুকুর মারা গিয়েছে। আলফা মারা যাওয়ায় সন্দেহ বেড়েছে।’’
অবোলা পশুদের উপরে অত্যাচার অবশ্য এই প্রথম নয়। কিছু দিন আগে পর্ণশ্রীতে কুকুর মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর এপ্রিল মাসে টালিগঞ্জে একটি কুকুরকে পিটিয়ে মারছিলেন কয়েক জন। কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুই যুবক। ২০১৬-এ বেহালার একটি আবাসনেও একাধিক কুকুরকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল কয়েক জন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। পরপর এমন ঘটার পিছনে অসহিষ্ণুতা ও অমানবিকতা বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন একটি পশুপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চেয়ারম্যান মণীশকুমার সাহা। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ পরিজনেদেরই দয়ামায়া দেখান না। রাস্তার কুকুর তো কোন ছার!’’ তাঁর বক্তব্য, কীটনাশক সহজেই মেলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা খাইয়েই কুকুর, বেড়াল মেরে ফেলা হচ্ছে।