Balaram Mullick

বেসুরো সময়ে সুরে থাকার মন্ত্র এ বার মিষ্টিতে

উদ্যোক্তারা বলছিলেন, বাংলার গান ও মিষ্টির ধারাবাহিকতাকে এ বার মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:০৭
Share:

নিউ টাউনে ‘ক্যাডবেরি মিষ্টি সেরা সৃষ্টি’ অনুষ্ঠান। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

অতিমারির দিনগুলি খুব সুরেলা যায়নি কারও জন্যই। তা-বলে জীবন তো থেমে থাকে না। করোনা-কালে এবিপি গোষ্ঠীর ক্যাডবেরি মিষ্টি সেরা সৃষ্টি-র পার্বণ তাই গানে গানেও মিষ্টত্বের খোঁজ করছে।

Advertisement

শতাব্দীপ্রাচীন বলরাম মল্লিক, মাখনলাল, নলিন দাস, চন্দননগরের সূর্য মোদকদের মতো মিষ্টি-স্রষ্টাদের সঙ্গে সৃষ্টির এই উৎসাহে শামিল দক্ষিণ কলকাতার যুগলস বা নিউ কল্পনা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, হিন্দুস্থান সুইটস। থাকছে কয়েক বছর আগে মিষ্টি ভুবনের আগন্তুক সুইট বেঙ্গল, দমদমের নিউ ভারত সুইটস, পাইকপাড়ার রক্ষিত সুইটস বা সল্টলেকের চিত্রকূটও। হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, শিলিগুড়ির মিষ্টি-স্রষ্টারাও অনেকে এই সৃষ্টি-যজ্ঞে সামিল। অনেকেই কোনও একটি জনপ্রিয় গান-ভাবনায় হাত লাগিয়েছে নতুন কোনও ক্যাডবেরি সৃষ্টির সাধনায়।

উদ্যোক্তারা বলছিলেন, বাংলার গান ও মিষ্টির ধারাবাহিকতাকে এ বার মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদী বা পরিচিত বাউল গান থেকে আধুনিক বাংলা বা ব্যান্ডের গান মিলিয়ে এ কালের জনপ্রিয় শিল্পীদের কণ্ঠে সেজে উঠেছে গান-সম্ভার। বাছাই মিষ্টি বিপণিতে ঢুকে ফোনে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই শোনা যাবে সবক’টি গান। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট গানের প্রেরণায় মিষ্টির আস্বাদও বাড়তি পাওনা। ক্যাডবেরির উৎপাদকদের মার্কেটিং কর্তা অনিল বিশ্বনাথনের কথায়, ‘‘বাঙালির মিষ্টির উৎকর্ষের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা খুবই আনন্দের।’’

Advertisement

স্বাদে, সুরের এই মেলবন্ধনে বাঙালি-গরিমার আন্তর্জাতিক মূল্যবোধও স্পষ্ট। ছানার সন্দেশে বাঙালির উৎকর্ষ সৃষ্টিকে সারা বিশ্ব সমীহ করে। চকলেটের পরম্পরাও গৌরবের। ক্যাডবেরির সঙ্গে গাঁটছড়ায় মিলে যাচ্ছে এই ভিন্ন ঘরানা। করোনা-কালের ক্ষয়ক্ষতি ভুলে নতুন শুরুর স্বাদে মাতছে মিষ্টি-ভুবন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement