ডিপিএস সোসাইটি থেকে কেন এই স্কুলের নাম বাদ গেল, তাই নিয়ে এখনও তাঁরা অন্ধকারে। ফাইল ছবি
দিল্লির ডিপিএস সোসাইটি থেকে ‘দিল্লি পাবলিক স্কুল, নর্থ কলকাতা’র নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর অব্যাহত অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ডিপিএস সোসাইটি থেকে কেন এই স্কুলের নাম বাদ গেল, সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তাঁদের ছেলেমেয়েরা কোন স্কুলের নামে পরীক্ষা দেবে— এই বিষয়গুলি নিয়ে এখনও তাঁরা অন্ধকারে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের এ নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাচ্ছেন না। যদিও ডিপিএস, নর্থ কলকাতার প্রিন্সিপাল সুজাতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন ডিপিএস সোসাইটি তাদের ওয়েবসাইট থেকে আমাদের স্কুলের নাম বাদ দিল, তা নিয়ে আমরা দিল্লি হাইকোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলার একটি শুনানি হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন। মামলার গতিপ্রকৃতি অভিভাবকদের একটি অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
সুজাতাদেবী আশ্বস্ত করলেও অবশ্য দুশ্চিন্তা কাটছে না অভিভাবকদের। তাঁদের এক জনের কথায়, ‘‘ক্রমশ বিষয়টা জটিল হচ্ছে। যে ব্র্যান্ড দেখে আমরা ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে ভর্তি করেছি, সেই ব্র্যান্ড নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শুনেছি, কলকাতার একটি স্কুলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে ডিপিএস, নর্থ কলকাতা। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই এই প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমরা এগুলি মানব না। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বেগে আছি।’’ তবে অন্য স্কুলের সঙ্গে ডিপিএস, নর্থ কলকাতার গাঁটছাড়া বাঁধার বিষয়টি ঠিক নয় বলে দাবি করে সুজাতাদেবী বলেন ‘‘সিবিএসই বোর্ডের অধীন আমাদের স্কুল ডিপিএস সোসাইটিতেই থাকবে, এই বিষয়ে আমরা ৯০ শতাংশের থেকেও বেশি নিশ্চিত।’’
সূত্রের খবর, দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ডিপিএস স্কুলগুলির পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পঠনপাঠনে একটি নির্দিষ্ট সূচক বা মান নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিপিএস সোসাইটি। কোনও ডিপিএস স্কুল ওই মানে হেরফের ঘটালে সোসাইটি সংশ্লিষ্ট স্কুলের নাম ওয়েবসাইট থেকে বাদ দিতে পারে। যদিও সুজাতাদেবীর দাবি, তাঁদের স্কুলের পরিকাঠামো এবং পড়াশোনার মান অন্য ডিপিএস স্কুলের থেকে কোনও অংশে কম নয়। তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের মে মাস পর্যন্ত ডিপিএস সোসাইটির ওয়েবসাইটে আমাদের স্কুলের নাম ছিল। তার পরে নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু মে মাসে নতুন করে আমাদের স্কুলের পরিকাঠামোর কোনও হেরফের হয়নি।’’ প্রিন্সিপালের আরও দাবি, কেন নাম বাদ গেল জানতে স্কুল কর্তৃপক্ষ দিল্লির ডিপিএস সোসাইটির কাছে গিয়েছেন। কিন্তু বার বার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। গোটা বিষয়টি জানতে দিল্লির ডিপিএস সোসাইটিতে ফোন করা হলেও কেউ ধরেননি।