স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। দাবি না মানলে তা তোলা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বুধবার দুপুর পেরোলেও অনড় প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। এর মধ্যে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের সেখানে যাওয়া ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। অগ্নিমিত্রাকে দেখেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
মঙ্গলবার ছ’দফা দাবিতে ‘স্বাস্থ্য ভবন’ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের ১০০ মিটার আগেই তাঁদের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে টানা অবস্থানে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে অগ্নিমিত্রা পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। কোনও দলের বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন নয়।’’
যদিও অগ্নিমিত্রার দাবি, তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে আসেননি। সল্টলেকে দলীয় কার্যালয়ে কাজে এসেছেন। আন্দোলনে রাজনৈতিক রং লাগাতে চান না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘‘আমার ১২টা থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারেরা যেখানে আন্দোলন করছেন, এলাকাটি আমাদের কার্যালয়ের সামনে। দু’পাশের রাস্তা বন্ধ। তাই দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে আসছিলাম। ওঁরা ভেবেছেন হয়তো আমি আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছি। ওঁদের আন্দোলনকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করি। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক রং লাগাতে আসিনি।’’ চিকিৎসকদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগান নিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘ওঁরা আমাকে যাই বলুক, দিদিভাই হিসাবে সব সময় ওঁদের পাশে আছি।’’
উল্লেখ্য, প্রায় ২২ ঘণ্টা কাটতে চলল। এখনও জট কাটেনি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছে, ১০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে দেখা করতে। কিন্তু আমাদের দাবি, অন্তত ২৫ জন যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, আলোচনায় বসলেই যে অবস্থান তুলে নেওয়া হবে তা নয়। দাবি পূরণের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা দেখার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।