প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার ডোমজুড় এলাকায় সরস্বতী নদীর পাড়ে জবরদখলকারীদের সরাতে পদক্ষেপ করা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরস্বতী নদী সংক্রান্ত একটি মামলায় চলতি সপ্তাহেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানিয়েছে রাজ্য। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে আগামী এক মাসের মধ্যে নিজেদের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় যুক্ত পূর্ব রেলকেও দেওয়া হয়েছে একই নির্দেশ। কারণ, পুরো বিষয়টির সঙ্গে নদীর দূষণের প্রশ্নটি জড়িত।
সংশ্লিষ্ট মামলায় এর আগে সরস্বতী নদীতে তরল বর্জ্য পড়া ঠেকাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছিল আদালত। এই মামলাতেই ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি) আদালতকে জানিয়েছিল, সরস্বতী নদীতে দৈনিক প্রায় ১৭ কোটি লিটার তরল বর্জ্য এসে মেশে। এ দিকে, বর্তমানে প্রস্তাবিত ও নির্মীয়মাণ মিলিয়ে নিকাশি পরিশোধন প্লান্টের সম্মিলিত ক্ষমতা ২১.১০ কোটি লিটার।
এনএমসিজি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অধীনে তাঁরা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসনকে আর্থিক দিক থেকে এবং অন্য ভাবে সাহায্য করেন। কিন্তু, মূল দায়িত্ব রাজ্যেরই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে হলফনামা দিয়ে এখনও পর্যন্ত বিষয়টির অগ্রগতির কথা জানানো হয়েছে।
পরিবেশবিদ মহলের একাংশেরও বক্তব্য, প্রবহমান নদী, খালে মেশা নিকাশি সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসন অনেক ভাল জানবে। এনএমসিজি শুধু নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্যের জমা দেওয়া প্রস্তাবের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য করতে পারে মাত্র! এক পরিবেশবিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘তরল বর্জ্য নদীতে পড়া আটকাতে নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলাটাই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি, সংলগ্ন বসতি এলাকার সব বাড়ির নিকাশি সংযোগ যাতে মূল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তা-ও নিশ্চিত করা দরকার রাজ্যের।’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘রাজ্যের কোথাওই নদীতে নিকাশি-বর্জ্য মেশা আটকানো যায়নি। এটা রাজ্য সরকারেরই ব্যর্থতা।’’