গ্রাফিকছ শৌভিক দেবনাথ।
রাস্তাঘাট খারাপ নয় আমাদের এলাকায়। বেশ ভালই বলা যেতে পারে।
হয়তো আবর্জনা জমে থাকে না। হয়তো রাস্তাঘাট মোটের উপরে পরিচ্ছন্ন। তবু শব্দদূষণ আর দৃশ্যদূষণ রয়েই গিয়েছে। বাসিন্দারা অকারণেই মাইক ব্যবহার করে হঠাৎ হঠাৎ উচ্চস্বরে গানবাজনা শুনতে শুরু করেন। এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হয়। একই ভাবে গাছ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। এ গুলোও তো পুরসভার দেখার কথা। যতটা গাছ থাকার কথা ততটাও যেন নেই। হোর্ডিংয়ের সংখ্যা কমিয়ে গাছের সংখ্যা বাড়ালে আদতে উপকার সবার। সাদার্ন অ্যাভিনিউ বা লেক রোডে কিন্তু এই অভাবটুকুও চোখে পড়ে না। আনোয়ার শাহ রোডে তুলনায় অযত্নের ছাপ স্পষ্ট।
অঞ্চলের পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
বর্ষায় জল জমে নিকাশি ব্যবস্থার সস্যার কারণেই। যেটা একেবারেই কাম্য নয়। এই দিকটিও একটু দেখলে ভাল হয়।
পর্যাপ্ত আলো পুরসভা আমাদের এলাকার জন্য বরাদ্দ করেছে। ফলে, এই নিয়েও আমার কিছু বলার নেই।
শুধু নিজের এলাকার বাসিন্দা নয়, সবার মুখ চেয়েই বলব, শহরে দূষণ সত্যিই মাত্রাতিরিক্ত। শীত ঢুকছে শহরে। কিছু দিনের মধ্যেই কুয়াশা, এবং ধোঁয়াশার আস্তরণ জানান দেবে কলকাতার আবহাওয়া কতটা দূষিত। এক মাত্র উপায় প্রচুর সবুজায়ন। গাছ শুধু রোপন করলেই হবে না। তার পরিচর্যাও করতে হবে। তবেই তা সে শহরবাসীকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন জোগাতে পারবে। ভুলে গেলে চলবে না, দিল্লির পরেই দূষণের দিক থেকে শহর কলকাতা দ্বিতীয়।
(সংকলন: উপালি মুখোপাধ্যায়)