প্রতীকী ছবি।
কারণে-অকারণে চড়া ভাড়ার পাশাপাশি যাত্রী-প্রত্যাখ্যান তো ছিলই। সেই সঙ্গে বাতানুকূল যন্ত্র না চালানোয় অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে যাত্রীদের অসন্তোষ দিনদিনই বেড়ে চলেছে। ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে চালকেরাও নিজেদের প্রাপ্য কমিশন ঠিকমতো না পাওয়ার সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। এর মধ্যেই ‘সার্জ’ (বেশি চাহিদার সময়ে চড়া ভাড়া)-এর সমস্যামুক্ত পরিষেবা নিয়ে হাজির হওয়ায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর নিজস্ব অ্যাপ ‘রাইড’ (Ryde) নিয়ে যাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে। সংগঠনের দাবি, মাত্র দু’দিনেই ওই অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা হাজার তিনেক ছাড়িয়েছে। যাত্রীদের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে নিয়মিত ভাবে ওই অ্যাপের সফটওয়্যার উন্নত করা হচ্ছে বলে সংগঠনের দাবি। অ্যাপ ছাড়াও ফোনের মাধ্যমে ক্যাব ভাড়া করতে পারছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অন্যান্য সংস্থার মতো ভাড়া নিয়ে জটিলতা এখানে নেই। সকাল, রাত বা দিনের বিশেষ সময়ে ভাড়া বৃদ্ধির কোনও ব্যাপার আমরা রাখিনি। কিলোমিটার-পিছু গড়ে ২০ টাকা ভাড়া পড়ছে যাত্রীদের। ক্যাবগুলি বাতানুকূল। ফলে যাত্রীদের সঙ্গে কোনও লুকোচুরি নেই।’’
বৃহস্পতিবার ওই ক্যাব পরিষেবার সূচনা করেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। চালকদের দাবি, তাঁরাও প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকার কাছাকাছি পাচ্ছেন। ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে তৈরি হওয়া সমস্যা কিছুটা কমেছে বলে দাবি তাঁদের। এআইটিইউসি-র ক্যাবচালকদের সংগঠনের সদস্যেরাও অ্যাপে যুক্ত হচ্ছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি ভাড়ার অনেকটা লভ্যাংশ হিসেবে কেটে নিচ্ছে। যাত্রীদেরও ভাড়া বাবদ মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে। কিন্তু চালকেরা প্রাপ্য পাচ্ছেন না। চালকদের কিছুটা সুরাহা করাই নতুন ব্যবস্থার উদ্দেশ্য।’’ তবে চালকেরা অনেকেই এখনও এই অ্যাপ সম্পর্কে অবহিত নন। সেই পরিচিতি বাড়লে পরিষেবা আরও উন্নত হবে বলে জানান ইন্দ্রনীলবাবু।