এএফপির প্রতীকী ছবি।
নববর্ষে ধোপদুরস্ত থাকুন ওঁরাও।
শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা মানুষগুলি এখন সব চেয়ে অসহায়। খাবারই জুটছে না। তায় আবার পরিচ্ছন্নতা। কিন্তু অতিমারির পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা আবার পরিচ্ছন্নতার উপরেও জোর দিচ্ছেন। এই অবস্থায় সোমবার থেকে উত্তর কলকাতার রাস্তায় ঘোরা ভবঘুরেদের চুল-দাড়ি কামানোর ব্যবস্থা করা হল।
২৩ মার্চ জনতা কার্ফুর সন্ধ্যা থেকেই বাগবাজারের একটি কমিউনিটি হলে তুলে আনা হয়েছিল ১৭৫ জন ভবঘুরেকে। কলকাতা পুরসভার স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি ঘোষ জানান, শ্যামপুকুর, বড়তলা, টালা, সিঁথি এবং জোড়াবাগান এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন ওই সব ভবঘুরে। কমিউনিটি হলের ছাদেই তাঁদের চুল-দাড়ি কামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন, ৪৫ জনের চুলদাড়ি কাটা হয়। বাকিদের চুল-দাড়িও কামানো হবে।
বাপির কথায়, ‘‘ওই সব ভবঘুরে লোকজন চুল-দাড়ি কাটতে ভয় পাচ্ছিলেন। তবে প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থার পরে তাঁদের ভয় কেটেছে।’’ ভবঘুরেদের জন্য সেখানে তাঁদের দিনরাতের খাবারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং নতুন জামাকাপড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পুষ্টির অভাব যাতে না হয়, তার জন্য আজ, মঙ্গলবার সকালে শিশুদের জন্য দুধের ব্যবস্থা করছেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দর্জিপাড়ার কাছে মঙ্গলবার সকালে ৫০ জন শিশুর মধ্যে ফোটানো দুধ বিতরণ করা হবে বলে জানান শশী। শিশুদের সঙ্গে তাদের মায়েরা থাকলে, তাঁদেরকেও ফোটানো দুধ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।