বিধানসভার অলিন্দে (বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী ও তপন চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
বুধবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল, তার রেশ জিইয়ে রইল বৃহস্পতিবারেও। বিধানসভার অধিবেশনে চলাকালীন বৃহস্পতিবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিষয়টির উত্থাপন করেন। বুধবার দুই বিধায়কের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা ‘অনভিপ্রেত’ বলে জানিয়েছেন তিনি। দু’পক্ষকেই ‘সংযত আচরণ’ করার পরামর্শ দেন স্পিকার। বিধানসভায় কারও নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কোনও কারণ নেই বলেও মত বিমানের।
বিমান বলেন, “বিধানসভার অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা হয়। অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভাতেও হয়, লোকসভাতেও হয়। কিন্তু বিধানসভার বাইরে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করারও কোনও কারণ নেই। তবে আপনাদের সকলেরই সংযত থাকা উচিত এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেটি দেখা উচিত।”
প্রসঙ্গত, বুধবার বিধানসভার অলিন্দে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু ও তপন। এর পরই শুভেন্দু অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও দাবি করেছিলেন এবং বিষয়টি নিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকারের কাছে। পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়কও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছেন স্পিকারকে। তাঁর অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে তাঁর সামাজিক মর্যাদায় আঘাতের চেষ্টা করছেন।
সেই ঘটনার পর এ বার স্পিকার নিজেই এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধিবেশনে। দু’পক্ষকেই সংযত থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি। যদিও বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। তবে তৃণমূল বিধায়ক তপন অধিবেশন কক্ষেই ছিলেন। অন্য দিকে, স্পিকারের মন্তব্যে খুব একটা খুশি নন বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা শঙ্কর ঘোষ দাবি করেন, বিধানসভার অভ্যন্তরে ‘আতঙ্কের পরিবেশ’ তৈরি হয়েছে। দু’পক্ষের হইহট্টগোলে উত্তাল হয় বিধানসভার অধিবেশন।