সরকারি বাস। —ফাইল চিত্র।
ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি সঙ্কটে ফেলেছে সরকারি বাস পরিষেবাকেও। এ বার তাই মরিয়া হয়েই বিকল্পের সন্ধানে নেমেছে রাজ্য প্রশাসন। সিএনজি এবং ব্যাটারিচালিত বাসের পাশাপাশি হাইড্রোজেন-চালিত বাস নামানো নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার। শুক্রবার রাজ্য পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে পরিবহণ নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে দফতরের সচিব রাজেশ সিংহের পাশাপাশি ছিলেন ব্যাটারি ও হাইড্রোজেন-চালিত বাস নির্মাণকারী কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরাও।
ওই বৈঠকেই কয়েকটি সংস্থা ব্যাটারিচালিত বাস নিয়ে তাদের উপস্থাপনা রাখে। এর পাশাপাশি, বারাণসীর একটি সংস্থা হাইড্রোজেন-চালিত বাস শহরের রাস্তায় নামানোর ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানায়। ওই সংস্থাটি কৃষিজাত বর্জ্য থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরিতে সক্ষম বলে দাবি করেছে। তাদের দাবি, বিশেষ ভাবে তৈরি হাইড্রোজেন-চালিত বাসে পরিবেশের কোনও দূষণ হয় না। তবে এক-একটি বাসের দাম পড়বে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ফলে, প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় থাকছে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের এক সংস্থা বছর দুয়েক আগে শহরে বিদ্যুৎচালিত ট্রলি বাস নামানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও নানা কারণে তা গতি পায়নি। জ্বালানির খরচ ও দূষণ কমাতে ইতিমধ্যেই নিগমের ৩০০টি বাস সিএনজি-তে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি ১৫০টি ব্যাটারিচালিত বাসও রাস্তায় নামানোর প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ১৭ নভেম্বর বেসরকারি বাসমালিকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেখানে বেসরকারি বাস সিএনজি-তে পরিবর্তন করা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।