চলছে গঙ্গাসাগর মেলার ট্রানজ়িট ক্যাম্পের প্রস্তুতি। বুধবার, বাবুঘাটে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
শহর জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা সংক্রমণের মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাস পরিষেবা কতটা স্বাভাবিক রাখা যাবে, তা নিয়ে উদ্বেগে সরকারি পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই রাজ্য পরিবহণ নিগমের একাধিক আধিকারিকের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। যে সব কর্মী সরাসরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের মধ্যেও অনেকেই নানা উপসর্গে ভুগছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা।
প্রতিবার মেলার সময়ে নিয়মিত বাস ছাড়াও রাজ্য পরিবহণ নিগমের অধীনে থাকা তিনটি সংস্থা মিলে প্রায় ২০০টি বাস এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের প্রায় ১০০টি অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়। মেলার সময়ে রাজ্য পরিবহণ নিগমের বাস প্রায় ১২০০টি এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস প্রায় ১৫০টি ট্রিপ করে। এর জন্য প্রচুর সংখ্যক বাসচালক এবং ডিপো কর্মীদের তৎপর থাকতে হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে ধর্মতলা চত্বরে যে ভাবে জনসমাগম হয়, তাতে তাঁরা এ বার কতটা সুরক্ষিত থাকতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। একাধিক আধিকারিককেও গঙ্গাসাগরে থেকে তদারকি করতে হয়। তাঁরা প্রতিষেধক পাওয়ার পরে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সংক্রমণের প্রভূত আশঙ্কা নিয়েই তাঁদের কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন আধিকারিক, চালক এবং কর্মীরা।
পাশাপাশি, ভাবাচ্ছে তীব্র আর্থিক সঙ্কটও। গত দু’বছরে ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে কম যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দিতে গিয়ে জ্বালানির খরচের টাকা কার্যত গচ্চা দিতে হয়েছে। রাজ্য সরকার জ্বালানি বাবদ খরচের টাকা নিগমগুলিকে বাস চালিয়ে তুলতে বলায় আয়-ব্যয়ের সমতা রক্ষার ক্ষেত্রে চাপ বেড়েছে। মেলায় পর্যাপ্ত বাস চালাতে হলে সরকারি নিগমগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যের উপরে তা গুরুতর প্রভাব ফেলবে বলেও আশঙ্কা করছেন আধিকারিকদের একাংশ।