WBTC

এসেছে বরাদ্দের একাংশ, রাস্তায় বাড়তে চলেছে সরকারি বাস

পরিকল্পনা খাতে গত দু’বছর ধরে বরাদ্দ সময় মতো না মেলায় একের পর এক বাস বসে যাচ্ছিল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। সেই সঙ্গেই যুক্ত হয় ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৫৩
Share:

বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত প্রায় ১০০টি বাস নামানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

পুজোর সময়ে রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। শহর ও শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত প্রায় ১০০টি বাস নামানো হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি পুজোর পরে আরও অন্তত ১২০টি বাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পারমিট ভাড়া-সহ তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে।

Advertisement

পরিকল্পনা খাতে গত দু’বছর ধরে বরাদ্দ সময় মতো না মেলায় একের পর এক বাস বসে যাচ্ছিল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। সেই সঙ্গেই যুক্ত হয় ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা। বাসের টায়ার ও ইঞ্জিন অয়েল-সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনা হয় পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ হওয়া টাকায়।

সম্প্রতি রাজ্য পরিবহণ নিগম, কলকাতা ট্রাম কোম্পানি এবং কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ টাকার একাংশ দিয়েছে অর্থ দফতর। সেই টাকা দিয়েই জরুরি মেরামতি করে বাস নামানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। তিনটি নিগম মিলিয়ে কয়েকশো বাসের জন্য পাঁচ কোটিরও বেশি টাকার টায়ার কিনতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে পরিষেবা চালু করতে টায়ার বদলানোর কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছেন পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা। রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত এই সমস্ত কাজ মিটলে রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

এ দিন পরিবহণমন্ত্রী যে সব রুটে বাস চালু করার কথা উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে গড়িয়া-বিমানবন্দর, হাওড়া-বিমানবন্দর, শাপুরজি-হাওড়া স্টেশন, পাটুলি-হাওড়া স্টেশন, করুণাময়ী-যাদবপুর, বারাসত-হাওড়া স্টেশন এবং একাধিক এসি ও নন-এসি বাসের রুট। ৫৯টি বাসকে ওই সব রুটে নামানো হবে বলে খবর।

এ ছাড়া, শহর ও শহরতলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে নামবে আরও ৪৫টি বাস। সেই বাসগুলিও নানা কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এসপ্লানেড থেকে বাগনান, আমতা, করিমপুর, উদয়নারায়ণপুর ও গাদিয়াড়া রুটের পাশাপাশি বারাসত-দিঘা বা জোকা-বারাসতের মতো একাধিক রুটও আছে ওই তালিকায়।

সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবহণ সচিবকে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প উপায় খুঁজতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রেক্ষিতে বাস ও পারমিট ভাড়া দিয়ে পিপিপি মডেলে পরিষেবা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে, পুজোর পরে বেসরকারি বাসে যথেচ্ছ ভাড়া আদায় রুখতে অভিযান শুরু হবে বলেও এ দিন জানান পরিবহণমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement