পাইপ পাতা শেষ হয়নি, জলসঙ্কট

গ্রীষ্মে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কালিকাপুর অঞ্চলে শুরু হল জলকষ্ট। কালিকাপুর সংলগ্ন দাসপাড়া, সার্ভে পার্কের একাংশ-সহ বেশ কিছু জায়গায় জল সঙ্কটে জেরবার এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৬
Share:

তৃষ্ণা: সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। এখনই জল নিতে লাইন পড়েছে কালিকাপুর। নিজস্ব চিত্র

গ্রীষ্মে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কালিকাপুর অঞ্চলে শুরু হল জলকষ্ট। কালিকাপুর সংলগ্ন দাসপাড়া, সার্ভে পার্কের একাংশ-সহ বেশ কিছু জায়গায় জল সঙ্কটে জেরবার এলাকার বাসিন্দারা। এই সমস্যায় অনেকেই বাইরে থেকে পানীয় জল কিনে আনেন। কিছুদিন আগেই মুকুন্দুপুরে তৈরি করা হয়েছে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু তাতেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বিভাস মাইতি বলেন, ‘‘মুকুন্দপুরের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে এলাকার বেশ কিছুটা অংশ জুড়েই পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পুরো এলাকায় পাইপ পাতার কাজ শেষ হয়নি। ফলে কয়েকটি জায়গায়
সমস্যা রয়েছে।’’

কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, কালিকাপুর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় গভীর নলকূপের জল সরবরাহ করা হতো। এখান বেশিরভাগ জায়গায় গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধাপা জলপ্রকল্প থেকে পরিশ্রুত পানীয় জল মুকুন্দপুরের জলাধারে রেখে সেখান থেকে তা সরবরাহ করা হয়। ধাপে ধাপে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। পরে আরও কয়েকটি একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে।

Advertisement

বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই অঞ্চলে জলকষ্ট ছিল। কিন্তু গত গ্রীষ্ম থেকে সমস্যা চরমে উঠেছে। এ বারও গ্রীষ্মের শুরুতেই জলকষ্ট দেখা দিয়েছে। এই অ়ঞ্চলে দীর্ঘ দিন বাস করছেন গৌতম হাওলাদার। তিনি বললেন, ‘‘আগের গভীর নলকূপের জল পেতাম। তখন গ্রীষ্মে জলকষ্ট হলেও তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন গভীর নলকূপগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। আবার সব জায়গায় পাইপ পাতার কাজও শেষ হয়নি। তাই গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রবল জলকষ্ট শুরু হয়েছে।’’ আর এক বাসিন্দা শান্তনু মাইতি বলেন, ‘‘আগের বছর থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছিল। এ বার গ্রীষ্ম পড়তেই জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এখন বেশ কয়েক মাস গরম থাকবে। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছি।’’ পাইপ পাতার কাজ শেষ না হওয়ায় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। দ্রুত পাইপ পাতার কাজ শেষ করার দাবি করেছেন তাঁরা। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্যার বিষয়টি শুনেছি। যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানে আমরা পর্যাপ্ত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি।’’

পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘যে সব জায়গায় পাইপ পাতা হয়নি সেখানে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। কোথায় পাইপের ঘাটতি রয়েছে তা পুরসভার তরফ থেকে সমীক্ষা করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ হবে।’’ পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে ট্যাঙ্কারে করে কিছু জায়গায় পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে সমস্যা বিশেষ মিটবে না বলেই আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement