প্রতীকী ছবি।
ফেলে দেওয়া বর্জ্য প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে নিউ টাউনে। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকতে চাইছে না স্থানীয় প্রশাসন। এ বার বাজার-দোকানে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণেরও পরিকল্পনা করেছে ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ বা এনকেডিএ। পাশাপাশি, ফুটপাত তৈরির ক্ষেত্রেও প্লাস্টিকের ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে তারা।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে গেলে মানুষকে বিকল্প কিছু দিতে হবে। সম্প্রতি এ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছেন এনকেডিএ-র কর্তারা। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সিবি কমিউনিটি মার্কেটে পরীক্ষামূলক ভাবে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হবে। সেই চেষ্টা সফল হলে গোটা নিউ টাউনেই প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে নামা হবে। এ ব্যাপারে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে এনকেডিএ। ওই বাজারকে প্লাস্টিকমুক্ত করার
কাজে তাদের সাহায্য নেওয়া হবে। প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওই বাজারের কাছে তৈরি করা হবে একটি কিয়স্ক। সেখান থেকে প্লাস্টিকের বিকল্প কোনও পদার্থ দিয়ে তৈরি ব্যাগ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যাতে
ক্রেতা বা বিক্রেতা, কারও কোনও সমস্যা না হয়। সিবি মার্কেটের পাশাপাশি মিষ্টি হাব এবং একান্ত কাফে হোম ডেলিভারি
ইউনিটের কাছেও ওই ব্যাগ ব্যবহার করার আবেদন জানানো হবে।
বাসিন্দাদের একাংশের মতে, ঠিকঠাক বিকল্প পাওয়া গেলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমবে। কিন্তু বিকল্প হিসেবে অনেক জায়গায় কাগজের ব্যাগ দেওয়া হয়। তাতে বাজারের আনাজ বা মাছ বহন করতে সমস্যা হয়। সেই বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন তাঁরা।
নিউ টাউনকে প্লাস্টিকমুক্ত উপনগরী হিসেবে গড়ে
তুলতে বাসিন্দাদের সহযোগিতা চাইছে প্রশাসন। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে ব্লকের
সমিতির কাছে আবেদন জানানো হবে বলে এনকেডিএ সূত্রের
খবর। ঘটনাচক্রে রবিবার নিউ টাউনের সিই ব্লক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার প্রচারে পদযাত্রা করেছে।
এ দিকে, রাস্তার পাশাপাশি ফুটপাত তৈরিতেও প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চায় এনকেডিএ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি সংস্থার সঙ্গে তারা কথা বলেছে। এখন ফুটপাতে যে পেভার ব্লক বসানো হয়, এ বার সেই পেভার ব্লকই তৈরি হবে প্লাস্টিক দিয়ে।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, প্লাস্টিক ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি হয়েছে। এক বছর পরে সেই
রাস্তার গুণমান পরীক্ষা করে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। সেই পথ ধরেই পেভার ব্লক তৈরির ক্ষেত্রে এ বার প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে।
পাশাপাশি, বিকল্প উপকরণ দিয়ে তৈরি ব্যাগের ব্যবহার চালু করে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।