আলিপুর জেলা জজ আদালত থেকে জামিন পেলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
গ্রেফতারের ২০ দিনের মাথায় জামিন পেলেও আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হচ্ছে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার তাঁর জামিন নিয়ে বাদী ও বিবাদী পক্ষের বাদানুবাদে আদালত কক্ষ সরগরম হয়ে ওঠে। তর্কের অন্যতম প্রশ্ন ও প্রসঙ্গ ছিল দুর্ঘটনার দিনে বিক্রম মদ্যপান করেছিলেন কি না।
দুর্ঘটনার রাতে ওই অভিনেতা মদ্য পান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বিক্রমের আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ গুহঠাকুরতা অবশ্য এ দিন বিচারক সুজয় সেনগুপ্তের এজলাসে জানান, বিক্রম মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়েছিলেন বলে পুলিশ কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। শুধু বিক্রমের কয়েক জন বন্ধুর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে তাঁকে মদ্যপ সাব্যস্ত করা হয়েছে। ‘‘সে-ক্ষেত্রে যে-সব বন্ধু বিক্রমকে নাইট ক্লাব থেকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়িতে তুলে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন, তাঁরাও দোষী বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। কারণ, বিক্রমকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে নিষেধ করা উচিত ছিল তাঁদের। অথচ তাঁরা তা করেননি,’’ সওয়াল করেন অভিযুক্ত অভিনেতার ওই কৌঁসুলিরা।
পাল্টা সওয়ালে সরকারি আইনজীবী রাধানাথ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, নাইট ক্লাবে বিক্রমের মদ খাওয়ার ছবি সিসিটিভি-র ফুটেজে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বিক্রম গাড়ি চালানোর সময়েও মদ খেয়েছিলেন। মদের খালি বোতল মিলেছে তাঁর গাড়িতে। বিক্রম যে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, এগুলোই তার প্রমাণ।’’ অভিযোগ, বিক্রম শুরু থেকেই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। বিক্রমের আইনজীবীরা জানান, চার্জশিটের সঙ্গে কোনও সিসিটিভি-র ফুটেজ জমা দেয়নি পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে একটি খালি জলের বোতল পাওয়া গিয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে তারা।