nabadiganta

পরীক্ষার্থীদের পরিজনদের অপেক্ষার জায়গা

সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের টিসিএস গীতবিতানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৫১
Share:

— ছবি সংগৃহীত

খাবারের জন্য ভরসা বলতে রাস্তার পাশে থাকা কয়েকটি দোকান। রয়েছে পানীয় জল এবং শৌচালয়ের সমস্যাও। সেই সঙ্গে সেখানে কোথায় গাড়ি দাঁড় করানো যাবে, তা নিয়েও হিমশিম খেতে হয়। সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের টিসিএস গীতবিতান এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আসা লোকজন অপেক্ষা করতে গিয়ে এমনই নাজেহাল অবস্থায় পড়েন। সেই সমস্যার সমাধানে এ বার পরীক্ষাকেন্দ্রের উল্টো দিকে একটি দোতলা ভবন তৈরি করেছে পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি।

Advertisement


সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের টিসিএস গীতবিতানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে সময়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় ভিড় জমান তাঁদের পরিজনেরাও। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের অপেক্ষা করার মতো সেখানে এত দিন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সম্প্রতি ছেলের পরীক্ষা ছিল বলে ওই এলাকায় অপেক্ষা করতে হয়েছিল মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা তমাল চৌধুরীকে। তিনি জানাচ্ছেন, পরীক্ষা চলাকালীন অপেক্ষা করার সময়ে শৌচালয় ও পানীয় জল না থাকায় সমস্যায় তো পড়েছিলেনই, সেই সঙ্গে ছিল গাড়ি পার্কিংয়ের অসুবিধাও। আবার চাকরিপ্রার্থীদের পরিজনদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়ে বিধাননগর পুলিশও। এই সব সমস্যার সমাধানে পর্যালোচনা শুরু করেছিল নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি।


তার পরেই ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের উল্টো দিকে একটি দোতলা ভবন তৈরি করা হয়েছে। নবদিগন্ত সূত্রের খবর, ওই ভবনের একতলায় ৭০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি কাফেটেরিয়া। বসে খাওয়ার পাশাপাশি খাবার নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে সেখানে। ভবনের দোতলায় রয়েছে শৌচালয়ের ব্যবস্থা। ওই ভবনের পাশে একটি ছোট উদ্যানও তৈরি হয়েছে, যেখানে বসে অপেক্ষা করতে পারেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। ওই ভবনের কাফেটেরিয়াটি খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শৌচালয়টি অবশ্য ইতিমধ্যেই চালু করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে নবদিগন্ত।

Advertisement


ওই এলাকায় একটি সাইকেল স্ট্যান্ডের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে নবদিগন্ত সূত্রের খবর। নবদিগন্তের এক কর্তা জানান, চার চাকা বা মোটরবাইকের বদলে সাইকেলের ব্যবহারে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement