টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, পুলিশকে হস্তক্ষেপ করার আর্তি জানিয়ে উপাচার্য মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন। সেই বার্তায় তিনি লিখেছেন,‘দয়া করে নিরাপত্তা দিন। আমার জীবন ঝুঁকির মধ্যে। আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটক ভেঙে দিয়েছে এবং আমার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা না পাঠালে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এটি একটি বিপদবার্তা।’
ফাইল চিত্র।
প্রধান ফটকের তালা ভেঙে মৃত ছাত্রের দেহ নিয়ে উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পড়লেন আত্মীয় এবং ছাত্ররা। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বার্তা পাঠালেন মুখ্যসচিবকে। সেই বার্তা পাঠানোর কথা জানিয়ে টুইট করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, পুলিশকে হস্তক্ষেপ করার আর্তি জানিয়ে উপাচার্য মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন। সেই বার্তায় তিনি লিখেছেন,‘দয়া করে নিরাপত্তা দিন। আমার জীবন ঝুঁকির মধ্যে। আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটক ভেঙে দিয়েছে এবং আমার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা না পাঠালে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এটি একটি বিপদবার্তা।’
যদি পাল্টা টুইট করে মুখ্যসচিব লিখেছেন, ‘ আমি খবর পেয়েছি। ডিজিপি, ডিএম, এসপিকে সর্তক করছি। আমি নজর রাখছি।’ বৃহস্পতিবারই পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তার বাবা-মা। এ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও পরোক্ষে দোষীকে আড়াল করার অভিযোগ আনে মৃত ছাত্রের পরিবার।
শুক্রবার এই ইস্যুতেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অসীমের বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলা তো দূর অস্ত, দেখাও করেননি উপাচার্য। এমনকি ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁরা হস্টেলে এসে পৌঁছনোর আগেই অসীমের ডেথ সার্টিফিকেটও লিখে ফেলা হয়।
এ দিকে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্য ঘনিষ্ট কিছু কর্মী উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। নতুন করে গোলমাল শুরু হওয়ার আগেই এক কর্মীকে আটক করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। উপাচার্যের বাড়ির সামনে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। সব মিলিয়ে বিশ্বভারতীয় চত্বরে প্রবল উত্তেজনার পরিস্থিতি।