কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া ছবি।
রাখে হেলমেট মারে কে। ইডেন টেস্টের মাধ্যমেবাইক আরোহীদের নিরাপত্তার বার্তা উঠে এল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রচারে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান মহম্মদ মিঠুনের হেলমেটে বল লাগার একটি ছবি দিয়ে হেলমেট পরার গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাদের ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘রাখে হেলমেট, মারে কে!’
ইডেন টেস্টের প্রথম দিন ২১তম ওভারে মহম্মদ সামির প্রথম বলটিছিল বাউন্সার। সেটি গিয়ে লাগে লিটন দাসের হেলমেটে। তার পরের ওভারেই ইশান্ত শর্মার বাউন্সার ফের লাগে লিটনের মাথায়। হেলমেটের উপর আছড়ে পড়া বলের আঘাত লাগে মাথাতেও। তাঁকে স্ক্যান করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ক্যানে কিছু পাওয়া না গেলেও আর মাঠে ফেরেননি তিনি।
প্রথম দিনে এমন আরও একটি ঘটনা হয়। মহম্মদ সামির ঘাতক ডেলিভারি আছড়ে পড়ে নইম হাসানের হেলমেটে। বলটি এত জোরে ছিল যে নইমকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তারও স্ক্যানে কিছু মেলেনি এবং লিটনের মতো তিনিও আর মাঠে ফেরেননি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকে ভরে যাচ্ছে বন্য জীবন, বালতি, বোতল মুখে বাঘের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস চালাকালিন ইশান্ত শর্মার একটি আগুন ঝরানো ডেলিভারি থেকে শেষ মুহূর্তে চোখ সরিযে নেন মহম্মদ মিঠুন। ফলে ইশান্তের সেই বিষাক্ত ডেলিভারি লাগে মিঠুনের হেলমেটে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় মাঠে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা মিঠুনকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি ঠিক আছেন কিনা। মিঠুন জানান, ঠিক আছেন। তারপর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিযে ফের ব্যাটিং করতে শুরু করেন মিঠুন।
আরও পড়ুন: রিভার্সে প্রায় এক ঘণ্টা গাড়ি চালাল কুকুর! ভিডিয়ো পোস্ট করল পুলিশ বিভাগ
বার বার হেলমেট কী ভাবে ব্যাটসম্যানদের প্রাণ বাঁচাচ্ছে সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। গোলাপি বলে মিঠুনের হেলমেটে আঘাত করার মুহূর্তটিকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সেই পোস্ট: