প্রতীকী ছবি।
বিজয়গড়ের বাসিন্দা নিধিরচন্দ্র কুণ্ডুকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বৃহস্পতিবার দুপুরে নেতাজিনগর থানা এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই অভিযুক্তের নাম সুভাষচন্দ্র রায়। তাকে আজ, শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে। সুভাষ জমি-বাড়ির দালালি করে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সুভাষের সঙ্গে নিধিরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দু’জনে আগে একই জায়গায় থাকতেন। তখন থেকেই আলাপ-পরিচয়। যা পরবর্তী কালে ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছয়। সেই সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েনের জেরেই সুভাষ বন্ধুকে খুন করে বলে জানিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে যাদবপুর থানা এলাকার বিজয়গড়ে বাড়ির ভিতর থেকে
উদ্ধার করা হয় ৬৭ বছরের নিধিরচন্দ্র কুণ্ডুর প্লাস্টিক ও চাদরে মোড়া মৃতদেহ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন, অর্থাৎ রবিবার রাতে সুভাষ নিধিরচন্দ্রের
বিজয়গড়ের বাড়িতে যায়। সেখানে দু’জনে ভাত এবং মুরগির মাংস রান্না করে দশটার পরে খাওয়াদাওয়া সারা হয়। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সুভাষ বন্ধুকে খুন করে বলে দাবি। এর পরে সারা রাত সে ওই বাড়িতেই ছিল। গোটা বাড়ি পরিষ্কার করে ভোরে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে সুভাষ ওই দিন নিজের বাড়িতে যায়নি। বন্ধুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসা
ল্যাপটপ ও টিভি নিজের এলাকার এক জন পরিচিত রিকশাচালকের কাছে রেখে দেয় সে। এর পরে সে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরে, এক পরিচিতের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে সুভাষ জানায়, কাজের খোঁজে সে এসেছে। কিন্তু ওই পরিচিতের তাতে সন্দেহ হওয়ায় সেখান থেকে সোজা মালদহে চলে যায় সুভাষ। সেখানে এক দিন থেকে
বৃহস্পতিবার সকালেই বাড়ি আসে। এর পরেই তাকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা চলাকালীন সুভাষের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় নিধিরের। তার মধ্যেই বন্ধুর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয় সুভাষ। তাতেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। পরে দেহটিকে সরানোর জন্য তা প্লাস্টিক আর চাদরে মুড়ে খাটের নীচে ঢুকিয়ে ভোরে ওই বাড়ি ছেড়ে যায় সুভাষ। পুলিশের কাছে সে দাবি করেছে, বন্ধুকে খুনের উদ্দেশ্য তার ছিল না।