Jadavpur University

ইসির বৈঠকে ছাত্রদের টানা স্লোগানের প্রতিবাদ, ধর্নায় যাদবপুরের উপাচার্য-সহ বেশ কয়েক জন শিক্ষক

বুধবার দুপুরে হঠাৎই একটি ইসির বৈঠক ডাকা হয়। উদ্দেশ্য ছাত্রমৃত্যু এবং ডেঙ্গু সংক্রান্ত বিষয় বাদে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৫
Share:

ধর্নায় বসেছেন উপাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।

বিরল ঘটনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ধর্নায় বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতি(ইসি)-র কয়েকজন সদস্য। ছাত্রদের হাতে 'অপমান ও হেনস্থা'র প্রতিবাদে তাঁদের ধর্না বলে দাবি উপাচার্য এবং ইসির সদস্যদের। বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ধর্না, যা চলছে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। ছাত্রছাত্রীদের ধর্নায় বসতে দেখা গেলেও উপাচার্য ধর্নায় বসেছেন, এমন দৃশ্য প্রায় দেখাই যায় না। কিন্তু তেমনটাই হল যাদবপুরে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বরের কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সব বিষয়ে আলোচনা করে ওঠা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সে দিনের বৈঠক শেষে ফের কবে ইসির বৈঠক হবে, তাও জানাননি তিনি। বুধবার দুপুরে হঠাৎই একটি ইসির বৈঠক ডাকা হয়। উদ্দেশ্য ছাত্রমৃত্যু এবং ডেঙ্গু সংক্রান্ত বিষয় বাদে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। ক্রমাগত স্লোগানের সম্মুখীন হয়েই ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য এবং ইসির কয়েকজন সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ সাইন্স এবং আরও বেশ কয়েক জন ডিন। বুদ্ধদেবের দাবি, ইসি চলাকালীন টানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁদের ছাত্র নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তারই প্রতিবাদে সারা রাত ধর্নায় বসেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের গাড়ি বারান্দায় অবস্থানে বসেছেন তাঁরা। বুদ্ধদেবের আরও দাবি, ছাত্রদের হাতে তাঁদের অপমানের প্রতিবাদেই এই ‘সত্যাগ্রহ আন্দোলন’।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলেছিল ইসির বৈঠক। বৈঠক অসম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়েছিল। বুদ্ধদেব জানিয়েছিলেন, বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। সে দিন পরবর্তী ইসি-র বৈঠকের দিনক্ষণ নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি উপাচার্য। সে দিনের বৈঠকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে অনলাইন ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুতে জড়িতদের হস্টেলে থাকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement