ফাঁকা আসনে ভর্তি নিয়ে চিঠি সহ-উপাচার্যের

দুর্নীতি আটকাতে এ বছর ভর্তি-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে। একাধিক কলেজে পড়ুয়ারা অনলাইনে আবেদন করছেন।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০০:১৮
Share:

স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজে কলেজে আসন ফাঁকা পড়ে থাকার আশঙ্কা। এই সমস্যার সমাধানে মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলেন, ফাঁকা আসনে ভর্তির জন্য কলেজগুলি আবার ভর্তির পোর্টাল খুলতে পারবে কি না।

Advertisement

দুর্নীতি আটকাতে এ বছর ভর্তি-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে। একাধিক কলেজে পড়ুয়ারা অনলাইনে আবেদন করছেন। তঁারা যে ক’টি কলেজে সুযোগ পাবেন, সবগুলিতেই ভর্তি হতে পারবেন। আগামী ৭ জুলাই ভর্তির শেষ দিন। কিন্তু সমস্যা হল, একটি কলেজে কোনও পড়ুয়া ক্লাস শুরু করে দিলে অন্য কলেজে তাঁর ভর্তি হওয়া আসনগুলি ফাঁকা পড়ে থাকবে। ফাঁকা ওই আসনগুলিতে নতুন করে আর ভর্তি করা যাবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ এখনও কলেজগুলির কাছে নেই।

পাশাপাশি ইতিমধ্যে অনেক কলেজে ক্লাস শুরুর আগেই আসন ফাঁকা থাকার ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানালেন, তাঁর কলেজে সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য সব আসন পূরণ হয়ে গেলেও তফশিলিভুক্ত পড়ুয়াদের এক হাজার আসনের মধ্যে প্রায় ৭০০টি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এর পরে ক্লাস শুরুর সময়ে কত জন আসবেন, তার উপরে নির্ভর করছে আরও আসন ফাঁকা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি। জয়দীপবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়া ভর্তির পরিস্থিতি আমরা নিয়মিত উচ্চশিক্ষা দফতর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। ভর্তির পোর্টাল যদি না খোলা হয়, তা হলে আমার কলেজে বহু সিট ফাঁকা থেকে যাবে।’’ মধ্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তাঁর কলেজে মোট ৫০০ আসনে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আগামী কয়েক দিনে এই ছবি খুব উজ্জ্বল হবে না বলেই তাঁর মত। ক্লাস শুরু হলে আরও আসন খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শ্যামলেন্দুবাবু। তাই আবার ভর্তি নেওয়ার জন্য পোর্টাল খোলা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘ভর্তির জন্য কলেজগুলি আবার পোর্টাল খুলতে পারবে কি না, সে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চেয়েছি।’’ তবে অনেক অধ্যক্ষেরই বক্তব্য, একমাত্র কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হলে এই সমস্যা দূর হবে। তার আগে নয়। কেন্দ্রীয় ভাবে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই নির্দিষ্ট একটি কলেজ বেছে পড়ুয়াকে সেখানে ভর্তির নির্দেশ দেবেন। একসঙ্গে অনেক আসন আটকে থাকার ঘটনা ঘটবে না।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement