—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
২০২৩ সালের টেটের ফল কবে বেরোবে, সেই নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ জমছে নতুন বছরেও।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, ২০১৭ এবং ২০২২ সালের প্রশ্নপত্র নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেই জটিলতা না কাটলে ২০২৩ সালের টেটের ফল বেরোবে না। সোমবার পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, ২০২৩ সালের ফল প্রকাশ নিয়ে আদালতের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। ২০২২ সালের টেটের কিছু প্রশ্ন ভুল আছে বলে চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের একাংশ আদালতে গিয়েছেন। পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, ‘‘২০১৭ সালের প্রশ্নপত্রেও ভুল নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা আছে। ওই পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে। এখন বিষয়টা বিচারাধীন। আইনি জটিলতা না কাটলে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে ২০২৩ সালের ফল বেরোবে না।’’
এই যুক্তি মানতে নারাজ ২০২২ এবং ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ এক পরীক্ষার্থী মোহিত কাটারি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের টেটেও প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা হয়। মামলা হওয়া সত্ত্বেও ৪২৯৪৯ এবং ১৬৫০০ জনের নিয়োগ হয়। ২০১৭ সালে টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল। সেখানে মামলা হওয়া সত্ত্বেও ঘোষিত শূন্য পদে নিয়োগ হয়েছে।’’ মোহিতের প্রশ্ন, ‘‘২০২২ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল নিয়ে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের একাংশ যদি মামলা করে থাকেন, তা হলে আমাদের ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ শুরু হবে না কেন?’’ একই প্রশ্ন ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের— টেটের মামলা থাকা সত্ত্বেও এর আগে পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। তা হলে তাঁদের টেটের ফল কেন বেরোচ্ছে না?
২০২৩ সালের টেট হয় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর। ওই পরীক্ষার্থীদের মতে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সবাই প্রতীক্ষা করছেন, কবে ফল বেরোবে। অন্য রাজ্যে নিয়মিত টেট হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ফল বেরোয়। নিয়োগও হয়। তা হলে এই রাজ্যে হবে না কেন? এই নিয়ে তাঁরা নতুন বছরে ফের রাজপথে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। মোহিতের দাবি, ‘‘আমরা জেনেছি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আমাদের জন্য শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে শূন্য পদ চেয়েছে। কিন্তু শিক্ষা দফতর উদ্যোগী হয়নি। ২০২৫ সালে ফের আন্দোলন করতে পথে নামছি। ২ জানুয়ারি বিকাশ ভবনে আমাদের অভিযানের পরিকল্পনা আছে।’’