কলকাতা বিমানবন্দর। ফাইল চিত্র
বিমানের গায়ে লাগানো এরোব্রিজ অথবা পার্কিং বে থেকে যাতে বিমান তাড়াতাড়ি রানওয়েতে পৌঁছে যেতে পারে, তার জন্য দু’টি নতুন ট্যাক্সিওয়ে তৈরি হচ্ছে কলকাতায়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কয়েকটি এলাকায় এমন ভাবে পার্কিং বে-গুলি রয়েছে, যেখানে একটি থেকে বিমান বেরিয়ে রানওয়ের পথে যেতে গিয়ে কোনও কারণে আটকে গেলে পিছনের পার্কিং বে-তে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানগুলিরও রানওয়েতে পৌঁছনোর উপায় থাকে না। কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, সম্প্রতি পার্কিংবে ভেঙে একটি ট্যাক্সিওয়ে তৈরি হয়েছে। আর পুরনো দু’টি ট্যাক্সিওয়েকে মিলিয়ে আরও একটি নতুন ট্যাক্সিওয়ে করা হচ্ছে। সেটি হলে পিছনের বিমান সহজে রানওয়েতে পৌঁছতে পারবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন কলকাতায় বিমানের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ফলে দু’টি বিমান উড়ে যাওয়ার মাঝের সময় কমিয়ে ফেলতে হচ্ছে। এমনকি যে বিমানগুলি কলকাতায় নামছে, সেগুলিকে দাঁড় করানোর জন্যও পার্কিং-বে তাড়াতাড়ি খালি করার প্রয়োজন হচ্ছে।’’
সাধারণত বিমানবন্দরে নতুন কোনও পরিবর্তন এলে তা নোটিস দিয়ে সকলকে জানানো হয়। বিমান পরিবহণের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘নোটিস টু এয়ারমেন’ (নোটাম)। নতুন দু’টি ট্যাক্সিওয়ের ক্ষেত্রে এখনও সেই নোটাম জারি করা হয়নি। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নতুন দু’টি ট্যাক্সিওয়ে চালু হয়ে গেলে সুবিধা হবে উড়ান সংস্থারও। পার্কিং বে খালি করে বিমান তাড়াতাড়ি রানওয়েতে পৌঁছতে পারলে জ্বালানিও বাঁচবে। এটার জন্য কয়েক মাস ধরে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। সেই অনুমতি সম্প্রতি আমাদের হাতে এসেছে।’’