Miscreants

মালদহের পথে অপহৃত দু’জন, উদ্ধারের পরে ধৃত এক দুষ্কৃতী

ধৃতকে জেরা করে আড়াই লক্ষ টাকা জমা পড়া সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি চিহ্নিত করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দু’লক্ষ টাকা। কিন্তু নিজামুদ্দিনের সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা স্পষ্ট হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৩
Share:

ধৃতকে জেরা করে আড়াই লক্ষ টাকা জমা পড়া সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি চিহ্নিত করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

কলকাতা থেকে মালদহে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন দু’জন। এর পরে শুরু হয় মুক্তিপণের দাবিতে তাঁদের পরিবারের কাছে ফোন আসা। গত ৭ জানুয়ারির ওই ঘটনায় এক জনকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। অন্য জনের জন্য জাল বিছোয় পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে সেই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তারা। গ্রেফতার করা হয় এক দুষ্কৃতীকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ নিজামুদ্দিন ওরফে রাজু। গত ১৬ জানুয়ারি মহম্মদ রহমান নামে এক ব্যক্তি তাঁর বাবা, বছর আটান্নর নুর আলম অপহৃত হয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কড়েয়া থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা নুর ও তাঁর এক বন্ধু কুষ্টিয়া রোডের বাড়ি থেকে মালদহের উদ্দেশে রওনা দেন গত ৭ জানুয়ারি। কিন্তু তাঁরা আর মালদহে পৌঁছননি। ওই দু’জন কয়েক দিন নিখোঁজ থাকায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁদের পরিবারের লোকজন। এর পরেই রহমানের কাছে তাঁর বাবার মুক্তিপণ বাবদ ছ’লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন আসা শুরু হয় বলে অভিযোগ।

তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ফোন কোথা থেকে করা হচ্ছিল, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করে। ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে বোঝা গেলেও ঠিক কোথা থেকে করা হচ্ছিল, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। এর পরে বাধ্য হয়েই দুষ্কৃতীদের বলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষ টাকা জমা করেন রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাকা জমা করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নুর ফোন করে তাঁর ছেলেকে জানান, দুষ্কৃতীরা তাঁকে বালেশ্বর থেকে কলকাতায় আসার বাসে তুলে দিয়েছে। তার আগেই অবশ্য কড়েয়া থানা এবং গুন্ডা দমন শাখার তদন্তকারীরা বালেশ্বরের কাছেই অপেক্ষায় ছিলেন। পুলিশের একটি দল বালেশ্বরের শিমুলিয়ার কাছে লক্ষ্মীনারায়ণ হোটেলের কাছ থেকে নুরকে নামিয়ে নেন। এর পরে তাঁর কথার ভিত্তিতেই ভদ্রকের একটি গ্রামে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় নিজামুদ্দিনকে। কিন্তু সে সেখানে একাই ছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

ধৃতকে জেরা করে আড়াই লক্ষ টাকা জমা পড়া সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি চিহ্নিত করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দু’লক্ষ টাকা। কিন্তু নিজামুদ্দিনের সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ শুক্রবার রাত পর্যন্ত নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জানা গিয়েছে, নুরের সঙ্গে থাকা আর এক অপহৃত মন্টুকে বুধবারই ছেড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মন্টুর মুক্তিপণ বাবদ নগদে দু’লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে খবর।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নুরের ব্যবসা রয়েছে কলকাতায়। কেন অপহরণ করা হল, তা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের দাবি, ব্যক্তিগত কারণে, না কি নেপথ্যে অন্য বিষয় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক তদন্তকারীর থায়, ‘‘লি রোডের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদকে অপহরণের পরে মুক্তিপণ দেওয়া হলেও খুন করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাই সাবধানতা বজায় রেখে এগোনো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement