মরণোত্তর অঙ্গদানের ফলে চার জন নতুন জীবন পেয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
ফের মরণোত্তর অঙ্গদান হল শহরে। ৪৯ বছরের এক ব্যক্তির অঙ্গে নতুন জীবন ফিরে পেলেন আরও দু’জন। বুধবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরে রোগীরা সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত ১২ মার্চ, রবিবার লেক টাউনের বাসিন্দা সঞ্জীব তাঁতিয়া পথ দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে গুরুতর চোট পান। তড়িঘড়ি তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ সোমবার তাঁকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা বুঝে যান, পরিস্থিতি খুবই জটিল। ক্রমশ ব্রেন ডেথের দিকে এগোচ্ছেন সঞ্জীব। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ব্রেন ডেথ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই অঙ্গদানের বিষয়ে সঞ্জীবের পরিবারকে বোঝাতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা এবং দুই ছেলে আয়ুষকুমার ওচেতনকুমার জানাচ্ছেন, মরণোত্তর অঙ্গদানের ফলে চার জন নতুন জীবন পাবেন— এই বিষয়টি বুঝে তাঁরা রাজি হয়ে যান।
সেই মতো রিজিয়োনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন (রোটো)-এর মাধ্যমে গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়। তাতে ঠিক হয়, যকৃৎ পাবে অ্যাপোলো, হৃৎপিণ্ড পাবে আর এন টেগোর হাসপাতাল এবং দু’টি কিডনির একটি পাবে আলিপুরের সেনা হাসপাতাল, অপরটি পাবে অ্যাপোলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা যায়, সঞ্জীবের দু’টি কিডনির কোনওটিই প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। তখন কিডনি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
অ্যাপোলোতেই যকৃতের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মণিপুরের ৫৯ বছরের এক প্রৌঢ়া। এ দিন তাঁর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সঞ্জীবের যকৃৎ। অন্য দিকে, আর এন টেগোর হাসপাতালে ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে হৃৎপিণ্ড। এ দিন অ্যাপোলো থেকে মুকুন্দপুরের আর এন টেগোরে হৃৎপিণ্ড পৌঁছে দিতে গ্রিন করিডর করে পুলিশ। তাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই অঙ্গ হাসপাতালে পৌঁছে যায়। এর পরে দুপুরেই প্রতিস্থাপন শুরু হয়।