প্রতীকী ছবি।
দুই মহিলাকে খুনের দু’টি পৃথক ঘটনায় দুই অভিযুক্তই ছিল পলাতক। মঙ্গলবার তাদের দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌরভ চক্রবর্তী ও অমিত ঘোষ। প্রথম জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাগুইআটি থানা এলাকায় এক তরুণীকে খুনের ঘটনায়। দ্বিতীয় জন ধরা পড়েছে নিউ টাউনের অতিথিশালায় এক মহিলাকে হত্যার অভিযোগে।
গত ২ জানুয়ারি বাগুইআটি থানা এলাকার পূর্ব মল রোডের একটি বাড়ি থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খুনের বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে এক গাড়িমালিকের কাছ থেকে। অভিযোগ, গাড়ির চালক সৌরভ তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে সেই তরুণীকে খুন করার কথা জানিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণী পানশালার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সৌরভের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়াও নিয়েছিলেন বলে একটি সূত্রের খবর। সম্ভবত সম্পর্কের অবনতির জেরে এমন ঘটনা বলে অনুমান। সব দিক যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সৌরভ পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। নিজের মোবাইল বন্ধ রেখেছিল সে। পুলিশ যদিও মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে নজরদারির চেষ্টা চালাচ্ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খড়দহের বাড়িতে পৌঁছতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, গত ২২ ডিসেম্বর নিউ টাউনের একটি অতিথিশালা থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্ত অমিত ওই মহিলাকে নিয়ে সে দিন একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল। যে সময়ে তাঁদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল, তা পেরিয়ে গেলে অতিথিশালার কর্মীরা ওই দু’জনকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা যায়, অমিত আগেই অতিথিশালা ছেড়ে চলে গিয়েছে। এর পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মহিলার দেহ উদ্ধার করে। সেই থেকে অমিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান এবং বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।
ওই তরুণীকে কেন সে খুন করল, তা জানতে অমিতকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনায় আর কারও কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।