দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই যুবকের। মৃতদের নাম অপূর্ব দেবনাথ (২৪) ও রাজেন্দ্র যাদব (২৬)। অপূর্ব ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। রাজেন্দ্র যাদব পেশায় অটোচালক।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর থেকে কালিকাপুরের দিকে যাওয়ার সময়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টরের জীবনানন্দ সেতুতে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলের চালক অপূর্ব ও অন্য এক আরোহীকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান অপূর্ব। অন্য জন রিজওয়ানুর খান (২০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, অপূর্বের বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে, রিজওয়ানুরের বাড়ি দিল্লিতে। অপূর্ব বজবজের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজ হস্টেলেই থাকতেন। রিজওয়ানুর কসবার রাজডাঙায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত, তিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, একটি জিমে আলাপ হয়েছিল অপূর্ব ও রিজওয়ানুরের। বৃহস্পতিবার রাতে রিজওয়ানুরকে বাইকে চাপিয়ে তাঁরই বাড়িতে যাচ্ছিলেন অপূর্ব।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বড়তলা থানার অরবিন্দ সরণি এলাকায় লাক্সারি ট্যাক্সির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে অটোচালক রাজেন্দ্র যাদবের। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ হাতিবাগান থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে শোভাবাজারের দিকে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাজেন্দ্র যাদব। শোভাবাজার থেকে হাতিবাগানের দিকে দ্রুত গতিতে একটি লাক্সারি ট্যাক্সি এসে অটোটিকে পাশাপাশি সজোরে ধাক্কা মারে। রাতে টহলদারি পুলিশ অটোর চালক এবং এক যাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা অটোচালক রাজেন্দ্র যাদবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অটোর যাত্রী শম্ভু শর্মাকে (২২) প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের দু’জনেরই
বাড়ি রবীন্দ্র সরণি এলাকায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঘাতক ট্যাক্সিটির সন্ধান মেলেনি।