Fraudulent

Courier service: প্রতারণায় ধৃত কুরিয়র সংস্থার দুই কর্মী

বৃহস্পতিবার মানিকতলা থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আঠারোটি মোবাইল উদ্ধার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১ ০৬:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অর্ধেকেরও কম দামে এলাকায় বিক্রি হচ্ছে নামী সংস্থার মোবাইল। শুনেই সন্দেহ হয়েছিল পুলিশ অফিসারদের। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পারেন, একটি ই-কর্মাস সাইটের নাম লেখা বাক্সে ভরা মোবাইল বিক্রি করছেন এক জন। তা-ও আবার অর্ধেকের কম দামে। সন্দেহ বাড়ে মানিকতলা থানার পুলিশ অফিসারদের।

Advertisement

তদন্তে নামতেই ‘ঝোলা থেকে বেড়াল’ বেরিয়ে পড়ে। জানা যায়, ওই ই-কর্মাস সাইটের পণ্য বরাত দেওয়া ক্রেতাকে সরবরাহ না করে মাঝপথেই কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক ডেলিভারি বয়। তবে তার আগে কারচুপি করে সংস্থার কাছে জিনিস ডেলিভারি হওয়ার মেসেজ পৌঁছে দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মানিকতলা থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আঠারোটি মোবাইল উদ্ধার করেছে। ধৃতদের নাম জয় মণ্ডল এবং রাজেশ সিংহ। জয়ের বাড়ি লেক টাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে। সে ওই সংস্থার ডেলিভারি বয়।

Advertisement

রাজেশের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডে। রাজেশ ওই সংস্থার গুদামের কর্মী। ধৃতদের শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়। ই-কমার্স সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে মানিকতলা থানার পুলিশের কাছে প্রথম খবর আসে, দামি মোবাইল বিপুল কম দামে বিক্রি হচ্ছে। যাঁরা মোবাইল কিনেছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায়, ই-কমার্স সংস্থার পণ্য সরবরাহকারী এক কর্মীর কথা। ক্রেতা সেজে প্রথমে জয়কে ধরা হয়। তার কাছ থেকে মেলে এগারোটি দামি মোবাইল। যা নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলেই সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এর পরেই খোঁজ মেলে রাজেশের। তার কাছ থেকে মেলে সাতটি মোবাইল।

এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘ওই চক্রের সন্ধান মেলার পরেই ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সংস্থা আমাদের বিস্তারিত তথ্য দেয়। এবং অভিযোগ দায়ের করে। এর পরেই ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়।’’

তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতেরা একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত, যাদের সংস্থার গুদাম থেকে জিনিস নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু পণ্য ঠিক জায়গায় না পৌঁছে তারা তা বিক্রি করে দিত। মোবাইলে কারসাজি করে সংস্থাকে জানিয়ে দিত ডেলিভারি হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে ক্রেতাকে জানানো হত, জিনিস সরবরাহ করতে দেরি হবে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অনেক জায়গায় মোবাইলের বদলে বাক্সে অন্য কিছু ভরেও তা সরবরাহ করত ধৃতেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement