প্রতীকী ছবি।
তরুণী বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম বিক্রম দাস ও শেফালি দাস। মঙ্গলবার তাঁদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বেলেঘাটার বাসিন্দা সুস্মিতা দাসের (২২) সঙ্গে মাস দুয়েক আগে বিয়ে হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার বাসিন্দা বিক্রম দাসের। তাঁরা দু’জনেই বিদ্যাসাগর কলেজের পড়ুয়া। দিন চারেক আগে সুস্মিতা বেলেঘাটা মেন রোডে বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে অনেক ডাকাডাকির পরেও সুস্মিতা সাড়া না দেওয়ায় পরিবারের লোকেরা তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন, ওই তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পরে সে দিনই মৃতার মা সুতপা দাস বেলেঘাটা থানায় মেয়ের স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই গত দু’মাস ধরে জামাই ও শাশুড়ি পণের দাবিতে মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। সেই কারণেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সোমবার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ বিক্রম ও তাঁর মা শেফালিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, কলেজে পড়া চলাকালীনই বিক্রম ও সুস্মিতার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। গত জুন মাসে তাঁরা পরিবারকে না জানিয়েই রেজিস্ট্রি করেন। পরে ডিসেম্বরে সামাজিক বিয়ে হয়। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘মৃতার মায়ের অভিযোগ যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’