NRS Hospital

কুকুরছানা খুনে জামিন পেলেও হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না দুই ছাত্রী

বুধবার বিকেল থেকে নীলরতল সরকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপরে চাপ বাড়াতে ইন্টার্ন নার্সরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে চত্বরে বহু বার কুকুর কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৩৮
Share:

অভিযুক্ত: সোমা বর্মণ (উপরে) ও মৌটুসি মণ্ডল। ভিডিয়ো-চিত্র

কুকুরছানা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স মৌটুসি মণ্ডল এবং সোমা বর্মণ শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন। কিন্তু এনআরএস-কাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটি আপাতত তাঁদের হাসপাতালে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যভবন এবং নার্সিং কাউন্সিলকে রিপোর্ট জমা দেবে তদন্ত কমিটি। ওই রিপোর্টের উপরেই দুই ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।

Advertisement

অন্য দিকে, বুধবার বিকেল থেকে নীলরতল সরকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপরে চাপ বাড়াতে ইন্টার্ন নার্সরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে চত্বরে বহু বার কুকুর কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। কুকুরমুক্ত না হলে হাসপাতালের কাজ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। ওই বিক্ষোভের জেরে পরিষেবা ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কুকুরছানা খুনের ঘটনায় আরও তিন জনের নাম জড়িয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ নার্সিং-এর ওই দুই অভিযুক্ত ছাত্রীকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯, ২০১ এবং প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট, ১৯৬০-এর ১১ (এল) ধারায় রবিবারই মামলা রুজু হয়। কিন্তু এগুলো সবই জামিনযোগ্য ধারা। এ দিন আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় আইনজীবীরা ওই দু’জনের জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক প্রশ্ন করেন, এই ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিন্তু এফআইআর-এ যে ধারা লেখা রয়েছে, তা সবই জামিনযোগ্য।

Advertisement

আরও পড়ুন: যদি কামড়ায়! ‘ছক’ কষেই কুকুর-নিধন

আদালত চত্বরে পশুপ্রেমীদের ভিড়।—নিজস্ব চিত্র।

দুপুর আড়াইটে নাগাদ শুনানি শুরু হলেও, সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বিচারককে বার বার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে হচ্ছিল। শুনানি চলাকালীন শেষ পর্যন্ত ‘অর্ডার রিজার্ভ’ হয়ে যায়। শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ২ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২ হাজার টাকা এনএসসি বন্ডে জামিন ম়ঞ্জুর করেন বিচারক। এ দিন অভিযুক্তরা জামিন পেলেও আইনি প্রক্রিয়ার কারণে রাতটা তাঁদের জেলেই থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার জামিনের টাকা জমা দেওয়ার পর তাঁদের ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: হুঁশ ফেরে না হাসপাতালের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement