গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বুধবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হলেন আরও তিন জন। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ১২ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবারের হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করে কলকাতা পুলিশ। এর পর সন্ধ্যায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। সেই ছবিতে হামলায় অভিযুক্তদের দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের সন্ধান দিতে বলে পুলিশ। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও কয়েক জনকে আটক করা হতে পারে মনে করা হচ্ছিল। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশ সূত্রে খবর, পরে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদে বুধবার গভীর রাতে পথে নামেন মেয়েরা। অভিযোগ, এই কর্মসূচির মাঝেই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালানো হয়। আন্দোলনের জমায়েত থেকে কয়েক জন চিকিৎসকদের উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। হামলা চালানো হয় পুলিশের উপরেও। অভিযোগ, অনেক ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিল এবং দরজা, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে ওই ভবনের চার তলার সেমিনার হলে, যেখানে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কেউ পৌঁছতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের। তারা জানিয়েছে, ওই ঘর অক্ষতই রয়েছে। এই হামলা নিয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।