সবুজ: রডন স্কোয়ার এখন। ফাইল চিত্র
ফের বিতর্কে রডন স্কোয়ারের প্রকল্প!
সম্প্রতি রডন স্কোয়ার সৌন্দর্যায়নের কাজ হাতে নেয় কলকাতা পুরসভা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রডন স্কোয়ারের ভিতরে থাকা জলাভূমি সংস্কার করে তা সাজিয়ে তুলবে পুরসভা। আর যে জায়গায় জলাশয় নেই, সেখানে পার্কিং লটও করার প্রস্তুতি নেয় পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর। সেই কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু বাদ সাধে পরিবেশপ্রেমীদের একটি দল। ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে তাদের এক সংগঠন। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছে, রডন স্কোয়ারের ভিতরে পার্কিং লট গড়ার কাজ বন্ধ রাখা হোক। সোমবার ওই রায় হাতে পেয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে পুর প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে রডন স্কোয়ারে বহুতল কমিউনিটি বিল্ডিং তৈরি শুরু হতেই সবুজ ধ্বংসের অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস। আন্দোলন এতই চরম আকার নেয় যে, তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার ওই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে। তার পর থেকে রডন স্কোয়ারের জলাশয় আগাছায় ভরে ছিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই জায়গার সৌন্দর্যায়নের ভার নেয় পুরসভা। ঠিক হয়, পুকুরটি সংস্কার করে চার পাশ সাজানো হবে। গোটা এলাকা আলোয় সাজানোর পরিকল্পনাও হয়। কিন্তু কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের নোটিস আসে। তাতে লেখা, সেখানে স্কুল পড়ুয়াদের গাড়ি বিনা পয়সায় রাখা যাবে।
মামলায় আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পের কাজে পুকুর বোজানো হচ্ছে। পার্কিং তৈরি হলে গাড়ির ধোঁয়ায় আরও দূষণ ছড়াবে, তা জেনেও কী ভাবে সেখানে পুর প্রশাসন এ কাজ করছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা নিয়ে। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায় দেখে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালতকে ভুল বোঝানো হয়েছে। ৯ কাঠা জায়গার উপরে পুকুর। কোনও ভাবেই পুকুর বোজানো হচ্ছে না।’’ পুর প্রশাসনও এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি হবে বলে জানান মেয়র। শোভনবাবু রডন স্কোয়ারে গিয়ে এলাকাটি ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘সেখানে এমন কিছু হচ্ছে না, যা পরিবেশ দূষিত করতে পারে।’’