Dharmatala BJP Rally

শহরের চার প্রান্তে চারটি রাজনৈতিক কর্মসূচি, মধ্য কলকাতা যানজটে থমকাতে পারে বুধ-দুপুরে

ধর্মতলায় বিজেপির সভার কারণে উত্তরমুখী গাড়ি চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধর্মতলা থেকে চাঁদনি চকের দিকে আসা গাড়িগুলিকে ইতিমধ্যেই ম্যাডন স্ট্রিট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৪
Share:

বুধবার যানজটে স্তব্ধ হতে পারে মধ্য কলকাতা। ছবি: পিটিআই।

শহরের চার প্রান্তে চারটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর তার জেরেই বুধবার বেলা গড়ালে মধ্য কলকাতায় থমকে যেতে পারে গাড়ির চাকা। পুলিশের তরফে অবশ্য এখনই বিকল্প কোনও রাস্তার কথা বলা হচ্ছে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, পার্ক স্ট্রিটের দিক থেকে উত্তর দিকে যাওয়া গাড়িগুলিকে লেনিন সরনি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ধর্মতলায় বিজেপির সভার কারণে উত্তরমুখী গাড়ি চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধর্মতলা থেকে চাঁদনি চকের দিকে আসা গাড়িগুলিকে ইতিমধ্যেই ম্যাডন স্ট্রিট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করা হলেও, একাধিক রাস্তার গাড়ির স্রোত একটি রাস্তায় নামলে যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বুধবার দুপুর ১২টা থেকেই বিজেপির সভা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। সকাল থেকেই মূল মঞ্চের সামনে জড়ো হয়েছেন কর্মী-সমর্থকেরা। এ ছাড়াও নকশালপন্থী একটি সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং ওয়াই চ্যানেলের সংযোগস্থলে। সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে চলার কথা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। শিয়ালদহ থেকে বিজেপির একটি বড় মিছিল সভাস্থলে ঢুকবে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আরও একটি রাজনৈতিক সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে এসপি মুখার্জি রোডে।

বুধবার দুপুরে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের মঞ্চে বিজেপির সভা শুরু হওয়ার কথা। ওই সভায় যোগ দিতে শহরের পাশাপাশি জেলা থেকেও আসছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির পক্ষে জানানো হয়েছে, মিছিল করে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে জেলা থেকে কর্মীরা আসছেন না। ট্রেনে বা বাসে চেপে আসছেন তাঁরা। শিয়ালদহ স্টেশনে বিজেপির যে কর্মীরা নামবেন, তাঁরা মৌলালি-এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে আসবেন সভামঞ্চে। সে কারণে ওই রাস্তায় তৈরি হতে পারে যানজট। হাওড়া স্টেশনে যাঁরা নামবেন, তাঁরা টি বোর্ড, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে সভাস্থলে এসে পৌঁছবেন। সে ক্ষেত্রে ওই সব রাস্তায় ধীর গতিতে এগোতে পারে গাড়ি।

Advertisement

ভিড় সামলানোর জন্য ১০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও ট্র্যাফিক পুলিশ থাকবে। মঞ্চ এবং আশপাশের এলাকাকে ছ’টা জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি জ়োনের দায়িত্বে রয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা। এক জন যুগ্ম কমিশনারের অধীনে ছ’জন ডিসি (ডেপুটি কমিশনার) থাকবেন। থাকবেন একাধিক এসি (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার)। বিভিন্ন বহুতলের ছাদ থেকে নজরদারি চলবে। এজেসি বোস রোড, রেড রোড, স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে চলাচল করতে পারবে গাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে গাড়ি অন্য পথে ঘোরানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement