গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার বামফ্রন্টের ডাকা সমাবেশে শহরে যানজটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সভাটি হবে ডোরিনা ক্রসিংয়ে। ফলে মধ্য কলকাতা জুড়ে অর্থাৎ সিআর অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি এবং স্ট্র্যান্ড রোডে যানজট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু সভাস্থল বা তার আশপাশের রাস্তাগুলি নয়, চার জায়গা থেকে বামেদের মিছিল আসবে। ফলে ওই রাস্তাগুলিতেও যানজট স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাদ্য আন্দোলনের ‘শহিদ স্মরণে’ বৃহস্পতিবার ধর্মতলা চত্বরে সভা করবে বামফ্রন্ট। দুপুর ২টোয় সেই সভা হবে। বামফ্রন্ট সূত্রে খবর, দুপুর ১টায় শহরের চার প্রান্ত থেকে চারটি মিছিল শুরু হবে এবং সেই মিছিল ধর্মতলার সভাস্থলে এসে শেষ হবে। একটি মিছিল আসবে হাওড়া থেকে। সেটি হাওড়া ব্রিজ হয়ে ব্রাবোর্ন রোড ধরে ধর্মতলায় আসার কথা রয়েছে। তবে এই মিছিলের দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ব্রাবোর্ন রোড দিয়ে হয়তো মিছিল আটকে দিতে পারে পুলিশ। ফলে সেটিকে স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওড়ার পাশাপাশি শিয়ালদহ থেকেও একটি মিছিল আসবে ধর্মতলায়। সেটির সম্ভাব্য পথ মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ডোরিনা ক্রসিং। ওয়েলিংটন থেকে একটি মিছিল আসবে। সেটি এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে সভাস্থলে পৌঁছবে। আর চতুর্থ যে মিছিলটি হবে, সেটি বিড়লা তারামণ্ডল থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় এসে শেষ হবে। এই মিছিল জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে ধর্মতলায় পৌঁছবে। ফলে চারটি মিছিল যে সব রাস্তা ধরে আসবে, সেই সব রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাড়ির গতি মন্থরও হতে পারে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, কোনও রাস্তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
খাদ্য আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০৯ সালের ৩১ অগস্ট শেষ বার ধর্মতলা চার মাথায় বিশাল বড় সমাবেশ করেছিল বামফ্রন্ট। তখন তারা ক্ষমতায় ছিল। প্রায় ১৪ বছর পর আবার সেই সভার আয়োজন করেছে তারা। এ বার খাদ্য আন্দোলনের ‘শহিদ স্মরণে’র পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘ভোট লুটে’র মতো বিষয়ের প্রতিবাদে ধর্মতলাতেই বামফ্রন্ট সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুলিশের তরফে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ বা ওয়াই চ্যানেলে সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানতে চাননি বাম নেতৃত্ব। পুলিশ প্রথমে আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত ধর্মতলা চত্বরে বুধবার সন্ধ্যায় সমাবেশের মঞ্চ তৈরি শুরু হয়। অন্য দিকে, সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, “লিখিত ভাবে এই সভার কোনও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। মৌখিক অনুমতি দিয়েছে।’’