সার্জেন্টদের হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। —ফাইল চিত্র।
অপরাধের কিনারা করতে এ বার থেকে তদন্তের দায়িত্ব পাবেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক সার্জেন্টরাও। এর জন্য তাঁদের বিভিন্ন থানাতেও নিয়োগ করা হবে। এতদিন কিছু তদন্তকারী সংস্থায় সার্জেন্টরা থাকলেও তাঁরা কোনও ভাবেই তদন্তের দায়িত্ব পেতেন না।
লালবাজারের তরফে গত এপ্রিল মাসে সার্জেন্টদের হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। তাতেই সায় দিয়েছে নবান্ন। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই অনুমতি মেলার পরেই কলকাতা পুলিশের সার্জেন্টদের কাছে প্রস্তাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন থানায় তদন্তের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নিজের ইউনিটের ডেপুটি কমিশনারের কাছে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। তা ডেপুটি কমিশনারের মাধ্যমে লালবাজারের সেন্ট্রাল রিজার্ভ অফিসে যাবে। সেখানে ইচ্ছুক সার্জেন্টদের বেছে নেওয়া হবে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে। ওই প্রক্রিয়া শেষ হলে নির্বাচিত সার্জেন্টদের এক থেকে দেড় সপ্তাহের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সার্জেন্ট পদটি শুধু কলকাতা পুলিশেই রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে শহরের দুষ্কৃতী দমনের জন্যই পদটি তৈরি হয়েছিল, তবে বর্তমানে কলকাতা পুলিশ এলাকায় সার্জেন্টরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। এসটিএফ, সাইবার ক্রাইমের মতো থানায় সার্জেন্টের পদ আছে। এই পদটি সাব-ইনস্পেক্টরের সমতুল্য। রাস্তায় ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সার্জেন্টদের হাতে থাকলেও, অপরাধের তদন্তভার তাঁদের আগে ছাড়া হয়নি। সেই ভার থাকত সাব-ইনস্পেক্টরদের উপরেই। বিভিন্ন থানায় এক থেকে দু’জন করে সার্জেন্ট রয়েছেন। তাঁরা থানার বাহিনী মোতায়নের কাজ দেখলেও তদন্তের দায়িত্ব পেতেন না।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে কলকাতা পুলিশের এলাকায় যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জোকা-বিষ্ণুপুর থেকে ভাঙড়। অভিযোগ, এলাকা বাড়লেও সেই তুলনায় গত কয়েক বছরে সাব-ইনস্পেক্টর নিয়োগ হয়নি। ফলে কলকাতা পুলিশে তদন্তকারী অফিসার বা সাব-ইনস্পেক্টর পদে ঘাটতি রয়েছে। পুলিশের একাংশের দাবি, ওই ঘাটতির কথা মাথায় রেখেই সার্জেন্টদের হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রস্তাব গিয়েছিল।