—প্রতীকী চিত্র।
ঘুড়ির মাঞ্জায় গাল কেটে গুরুতর জখম হলেন এক কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। রবিবার, পরমা আইল্যান্ড এলাকায়। আহতের নাম, দেবাংশু চট্টোপাধ্যায়।
তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল চারটে নাগাদ মা উড়ালপুলে টহল দিচ্ছিলেন দেবাংশুবাবু। পরমা আইল্যান্ড এলাকা থেকে প্রায় ৫০ মিটার যাওয়ার পরেই ঘুড়ির মাঞ্জায় তাঁর গাল কেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলেই পড়ে যান দেবাংশুবাবু। কোনও মতে ম্যানপ্যাকে সহকর্মীদের ঘটনাটি জানান তিনি। ট্র্যাফিক গার্ডের সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জানান, দেবাংশুর বাঁ দিকের গালের একটা অংশ কেটে বাদ চলে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে খবর, মা উড়ালপুলে মাঞ্জায় জখম হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত এক বছরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। মুলত রবিবারেই মা উড়ালপুলের আশপাশের এলাকায় চলতে থাকে ঘুড়ি কাটাকাটির লড়াই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেটে যাওয়া ঘুড়ির সুতো মাটির দিকে পড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে উড়ালপুলের উপরে সুতো এসে পড়ে। কিন্তু যাঁর ঘুড়ি কেটে যায়, তিনি দ্রুতগতিতে লাটাই ঘুরিয়ে সুতো গোটাতে থাকেন। দ্রুত গতিতে গোটানোর সময়ে সেই সুতো কোনও মোটরসাইকেল আরোহীর মাথা বা গলার উচ্চতায় এসে পড়লে কেটে গিয়ে জখম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিলজলা থানার এক ট্রাফিক সার্জেন্টের কথায়, অধিকাংশ চিনা মাঞ্জা খুবই সরু হয়। গাড়ি চালানোর সময়ে চোখেই পড়ে না। বছরখানেক আগে হাওড়ার বাসিন্দা এক কলেজ পড়ুয়া-সহ একাধিক ব্যক্তি এ ভাবেই গুরুতর জখম হয়েছিলেন। ওই কলেজ পুড়য়ার গলায় প্রায় এক ইঞ্চি গভীর ক্ষত হয়ে গিয়েছিল।
লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তার কথায়, ‘‘এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর বিষয়টিতে নজরদারির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’