প্লাস্টিক বর্জনে আরও একটু এগলো দক্ষিণ দমদম পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্জ্য অপসারণ দফতর এবং শিক্ষা দফতর গাঁটছড়া বেঁধে নামতে চলেছে এ বার।
বর্জ্য অপসারণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও পুরসভার বিভিন্ন বাজারে এবং রাস্তায় কাপড়ের ব্যাগ বিনামূল্যে বিতরণ করেছিল পুরসভা। কিন্তু সে ভাবে ফল মেলেনি। ফের ক্রেতাদের হাতে হাতে ঘুরতে দেখা গিয়েছে প্লাস্টিকের ব্যাগ। এক কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘আসলে নিখরচায় কোনও জিনিস পেলে বেশির ভাগ মানুষই তার মূল্য দেন না।’’ এ বার তাই বিনামূল্যে ব্যাগ বিতরণ না করে বিক্রি করবে পুরসভা। চেয়ারম্যান পারিষদ (বর্জ্য অপসারণ) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দক্ষিণ দমদম পুরসভা কম খরচে ব্যাগগুলি তৈরি করবে। পুর এলাকার বাজারগুলিতে পাঁচ ও দশ টাকায় সেই ব্যাগ বিক্রি হবে। এ ছাড়াও কাউন্সিলরের কাছ থেকে ওই কাপড়ের ব্যাগ কিনতে পারবেন জনসাধারণ।’’
চেয়ারম্যান পারিষদ (শিক্ষা) সমীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রায় আট মাস ধরে পুরসভা সেলাই প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। ছাব্বিশটি মেশিনে স্থানীয় মহিলারা এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। দেবাশিস আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বর্জ্য অপসারণ দফতর কাপড় কিনে দেবে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলাদের দিয়েই তৈরি করানো হবে ওই ব্যাগ। কম খরচে বিক্রি করলে ব্যাগের জন্য কিছুটা টাকাও পাবেন ওই মহিলারা। পাশাপাশি গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে কেনার জন্য ক্রেতারা ব্যাগ ব্যবহারও করবেন।’’
প্লাস্টিকের সমস্যায় জেরবার কলকাতাও। বর্ষার শুরুতেই প্লাস্টিকে হোঁচট খাচ্ছে ভূগর্ভস্থ নিকাশি। পরিস্থিতি সামলাতে কী ভাবে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা? পুরসভার নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক জানান, বর্ষার আগে থেকেই শহরের নিকাশি সাফাইয়ে বিশেষ গাড়ি নামিয়ে কাজ করছেন পুরকর্মীরা। সেই সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জনে প্রচারে নামছে পুরসভা।
মেয়র পারিষদ (বর্জ্য) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের পদযাত্রায় প্রায় তিন হাজার স্কুল পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিল। ছোট থেকেই প্লাস্টিক বর্জন মজ্জাগত করতে শহরের স্কুলগুলিতেও প্রোজেক্টরের মাধ্যমে এর কুফল প্রচারে নামবে পুরসভা। সেই সঙ্গে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই জরিমানার আইনে বাঁধতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। জরিমানার অঙ্কে আইনের ছাপ দেওয়ার জন্য প্রস্তাবটি ইতিমধ্যেই বিধানসভায় পাঠানো হয়েছে। তা আইনে পরিণত হলে বিক্রেতা এবং ক্রেতা দু’জনের থেকেই জরিমানা আদায় করা হবে।’’