Mamata Banerjee

TMC: শেষ টুইট ৪ তারিখে, নেই নেত্রী মমতার লখনউ সফরের কথা, চারদিন নীরব তৃণমূল

দলনেত্রী উত্তরপ্রদেশ সফরে গেলেন। অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রকাশ্য আহ্বান জানালেন। ফিরেও এলেন। কিন্তু নীরব তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৮
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নীরব সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল এবং ফেসবুক পেজ। শেষ টুইট তথা ফেসবুক পোস্ট রাজ্যে পুরভোটের প্রার্থিতালিকা। সেই ‘বিতর্কিত’ তালিকা এখনও ঝুলছে টুইটারে এবং ফেসবুকে। কারণ, তার পরে একেবারে চুপ দলের সরকারি টুইটার এবং ফেসবুক। যা নজিরবিহীন!

যদিও এর মধ্যেই একাধিক গুরুতূপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নতুন প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছেন। দলনেত্রী তথা চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই তালিকাকে বৈধতা দিয়েছেন। দলীয় সংগঠনেও এসেছে একাধিক রদবদল। গোয়ায় চলছে বিধানসভা ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচার। সেখানে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সর্বোপরি, দলনেত্রী মমতা দু’দিনের সফরে লখনউ গিয়ে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করেছেন। তাঁর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন। কিন্তু তার কোনও তথ্য বা ছবি নেই তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল এবং ফেসবুক পেজে। এমনিতে নেটমাধ্যমে সর্বদা সক্রিয় থাকে। সেই মাধ্যম একেবারে নীরব থাকায় দলের অন্দরে জল্পনা এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, মমতা নিজে কিন্তু তাঁর টুইটার হ্যান্ডল ব্যবহার করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি শেষ টুইট করেছেন। তবে একেবারেই অরাজনৈতিক। ওই টুইটে মমতা অরুণাচলে তুষারঝড়ে মৃত সাত জওয়ানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মমতার টুইটারেও তাঁর লখনউ সফরের কোনও ছবি দেখা যায়নি। দেখা যায়নি লখনউ সফর নিয়ে কোনও টুইটও।

প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই পরিস্থিতি? দলের একটি অংশের ব্যাখ্যা— দলের নেটমাধ্যমের বিভিন্ন ‘পেজ’ দেখভাল করার দায়িত্ব ছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের। কিন্তু আইপ্যাক নিয়ে দলের একাংশের ‘আপত্তি’র কারণে তৃণমূলের সঙ্গে প্রশান্তের সংস্থার সম্পর্ক খানিকটা ‘আলগা’ হয়েছে। যদিও কোনও পক্ষই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করেনি। বিভিন্ন ইঙ্গিতে এবং ঠারেঠোরে বোঝানো হচ্ছে, সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। যদিও আইপ্যাকের একাধিক সদস্য একান্ত আলোচনায় তা মানছেন না। কিন্তু নীরব টুইটার আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Advertisement

যদিও দলের অন্দরে ভিন্নমতও রয়েছে। যে ব্যাখ্যা বলছে, এটি টুইটার হ্যান্ডলটি পরিচালনা গত কোনও সাময়িক সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ বা জল্পনা নেই। কারণ, গোয়া বা ত্রিপুরার তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল এত ‘সক্রিয়’ থাকছে কী করে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement